পাহাড়ের গায়ে ঝুলতে দেখা যাচ্ছে সারি সারি কফিন (hanging coffin)। খাড়া এই পাহাড়ের গায়েই ঝুলন্ত অবস্থায় সমাধি দেওয়ার রীতি রয়েছে মৃতদের জন্যে। এমন রীতি পালিত হয় উত্তর ফিলিপাইনের (northern philippines) মাউন্টেন প্রদেশের ইগোরোট উপজাতিদের (Iigorot tribes) মধ্যে।
বেশ কিছু সময় ধরেই মাটির উপরে উঁচু পাহাড়ের (northern philippines) চূড়ায় ঝুলন্ত কফিনে প্রিয়জনদের তারা সমাধিস্থ করে থাকেন। সম্ভবত, দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এই প্রথা বাঁচিয়ে রেখেছে এই আদিবাসী সম্প্রদায় (igorot tribes)।
কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো প্রতি বছর নয় কয়েক বছর পর পর এই প্রথা পালিত হতে দেখা যায়। তারা মনে করেন যে ঝুলন্ত সমাধি (hanging coffin) দেওয়ার অর্থ হলো মৃত প্রিয়জনের আত্মাকে তাদের আপনজনদের কাছাকাছি এনে রাখা।
মাটিতে কবর দেওয়া হলে হয় কবরে জল, মাটি জমবে কিংবা সেই ব্যক্তির দেহ পচে যাবে। কিন্তু এর মাধ্যমে তারা সবাই ঝুলন্ত কফিনে শায়িত থাকেন মৃত্যুর পর।
আরো পোস্ট- জল নয় পাহাড়ের গা বেয়ে নামছে আগুনের ঝর্ণা!
ঝুলন্ত সমাধির (hanging coffin) আরো উপকারিতা হলো যে কোনো জন্তু মৃতদেহটির উপর থাবা বসাতে পারে না। আরেকটি কারণ হলো যে কলিঙ্গ এবং পূর্বের বোন্টোক প্রদেশের শত্রুরা মৃতদের মাথার খুঁজে বের করত এবং সেগুলোকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখতো।
এরপর থেকেই পূর্বপুরুষরা এই অদ্ভুত প্রথা আনে সমাজে ও তা মানতে শুরু করে। মৃত ব্যক্তিকে প্রথম একটা কাঠের খাটিয়ায় শোয়ানো হয়।
তারপর দেহটি বেত দিয়ে বেধে বেঁধে নিয়ে একটি কম্বলে মুড়ানো হয়। এবারে সম্মান জানাতে বাড়ির প্রধান ফটকের মুখোমুখি তা এনে রাখা হয়।
পচা গন্ধ যাতে না বেরোয় তাই সবাই পর্যাপ্ত ধূমপান করে থাকে। মৃতদের জন্য এই আয়োজন করা হয় কয়েকদিনের জন্য।
প্রবীণদের জন্য তিনটি শূকর এবং দুটি মুরগি বলি দিয়ে মৃত ব্যক্তির স্মরণে দিনটি সমর্পণ করে থাকেন তারা। এরপর বড়ো মিছিল সহকারে কফিনে করে পাহাড়ের উপর নিয়ে যাওয়া হয় ওই দেহ।
মিছিলটি যখন সমাধিস্থলে পৌঁছে যায় তখন যুবকরা ক্লিফের পাশের উপরে উঠে দেহটিকে একটি ফাঁকা কাঠের কফিনের ভিতরে ঢোকায়। হাড়গুলো কেটে ফেলা হয় শবদেহটিকে ছোট স্থানের রাখার জন্য।
এরপর যুবকেরা পাহাড়ে উঠে দেহটিকে কফিন পেরেক দিয়ে পাহাড়ের গায়ে ঝুলিয়ে (hanging coffin) রাখে। এভাবে প্রিয়জনদের স্বর্গে পৌঁছে দিয়ে আসেন তারা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.