মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই মৃত ব্যক্তির সৎকার করার মাধ্যমেই মনে করা হয় যে তিনি স্বর্গে স্থান পেলেন ও তার আত্মার শান্তি হলো। বহু প্রাচীন ও প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী মৃতদেহকে কবর দেওয়া বা শ্মশানে চিতায় পুড়িয়েই সৎকার করার রীতি রয়েছে।
তবে জানেন কি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে রয়েছে নানান অদ্ভুত রীতিনীতি? পার্সি সমাজের মানুষের মাঝে এমন এক অদ্ভুত রীতি রয়েছে।
পার্সি ধর্মাবলম্বীদের (parsi community) প্রথা অনুসারে, তাদের কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হলে তারা মৃতদেহের সৎকার করেন না। মৃতদেহ কবর দেওয়া বা পুড়িয়ে ফেলার রীতিও নেই তাদের মধ্যে।
মৃতদেহ খোলা স্থানে রেখে দেওয়াই তাদের মধ্যে প্রচলিত ধর্মীয় রীতি। পার্সি (parsi community) বা জরথ্রুষ্টিয়ান বা জোরাস্ট্রিয়ানরা মৃত্যুর পরে দাহ বা সমাধি‚ কোনোটিই করেন না।
উঁচু এক মিনারে মৃতদেহ রেখে দিয়ে চলে যান তারা। সেই দেহ ভক্ষণ করে চিল বা শকুনের দল। তাতেই নাকি মৃত ব্যক্তি তার করা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে যায়।
জরথ্রুস্টবাদে জল এবং আগুন হলো ধর্মীয়ভাবে পবিত্র। এর সঙ্গে জড়িত শুদ্ধিকরণের আচার-অনুষ্ঠানসমূহকে ধর্মীয় জীবনব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়।
পার্সি ঐতিহ্য অনুসারে মৃতদেহকে অপবিত্র মনে করা হয়। তাই জলে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া বা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার রীতি এই ধর্মে স্থান পায়নি। তারা মনে করলে এগুলি করা প্রকৃতিকে দূষিত করার নামান্তর।
তারা ভাবে যে মৃত্যুর পর দেহে প্রবেশ করে অশুভ আত্মা। তাই পার্সিদের শব রেখে দেওয়া হয় উঁচু সৌধে বা পর্বত শিখরে।
এক বছর সেই হাড়গুলি রোদে শুকানো হত। তারপর তা ব্যবহৃত হত কৃষিকাজের সার হিসেবে।
আসলে পার্সিদের এই রীতির নেপথ্যে যে বাস্তবসম্মত কারণগুলি রয়েছে তা ভালো একপ্রকার। এতে কোনো জ্বালানি লাগে না।
সমাহিত করার কোনো খরচ নেই। তাছাড়া এই রীতিতে ধনী-দরিদ্র বিভাজনও ধরা পড়ে না। উঁচুতে তারা এই কারণে রাখে দেহ যাতে মৃতদেহ পচে গিয়ে জীবিত মানুষকে অসুস্থ ও জীবাণু আক্রান্ত করতে না পারে তাই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.