নয়াদিল্লি: দেশের করোনা পরিস্থিতি ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ মোদী সরকার। অতিমারী শুরুর প্রথম দিন থেকেই এই নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তীব্র ভাষায় একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

ফের করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রবিবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধী বলেন, “করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশের সেবায় নয়, সব সময় নিজের দল আর ব্র‍্যান্ডের দিকেই বেশি মনোনিবেশ করেন। যারফল এখন সারা দেশবাসী ভুগছে।”

এদিন তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, “বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও প্রথম থেকেই করোনা মহামারীর বিষয়টি বুঝতে বা সামাল দিতে ব্যর্থ তিনি ও তাঁর সরকার।” তিনি বলেন, “দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি আয়ত্তের বাইরে চলে গিয়েছে। কোনওভাবেই এখন আর তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।”

এই অবস্থায় কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ নিয়েও কটাক্ষ করেন। এদিন তিনি আরও জানান, মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের অর্থই হল নিজের প্রতি নির্ভরশীল হও। নিজে খেটে খাও। মোদী সরকার কী সত্যিই দেশ আর জনতাকে আত্মনির্ভর বানাতে পেরেছে?

এদিন মোদীর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন,” দেশজুড়ে করোনা মহামারী চলছে। তারপরেও মোদী-শাহ মিলে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন ঘিরে একের পর জনসভা করে গিয়েছেন। দেশে করোনার সুপার-স্প্রেডারকে আরও বেশি করে বাড়িয়ে তুলেছেন মোদী-শাহ জুটি।”

তিনি বলেন, ” দেশের পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন ঘিরে নিজেদের প্রচারেই ব্যস্ত ছিলেন কেন্দ্রের বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা। প্রথম দিন থেকেই তাঁরা করোনাকে গুরুত্ব দেননি। যারফল আজ ভোগ করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত করোনা বেড়ে চললেও মোদী, শাহদের দেখা গিয়েছে প্রকাশ্য জনসভায় কোনওরকম করোনাবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়াই বক্তব্য রাখতে। করোনা নিয়ে কেন্দ্রের এই অহঙ্কারী মনোভাব বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে চাইনি। যারফল স্বরুপ আজ দেশের করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের অন্য দেশকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।”

শুধু তাই নয়, করোনা ইস্যু ছাড়াও গত ছয় বছরে সরকার দেশের জন্য কী করছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।অন্যদিকে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়ার একমাত্র উপায় হিসেবে গণ টিকাকরণের উপর জোর দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.