এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে স্পষ্ট বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত ২০০ এরও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেন তিনি। অন্তত দুপুর ১টা পর্যন্ত তেমনটাই ট্রেন্ড পাওয়া যাচ্ছে। নবান্নের মসনদে ফের মমতাই...এই ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই শুরু তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সেলিব্রেশন। নিরাপত্তার জন্যে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলির মুখ আটকে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু গলির মুখেই সবুজ আবির খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। কিন্তু এত বড় জয়ের পর কে কার কথা মানে। শুধু কালীঘাটেই নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গাতেও সবুজ আবির হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গাতে ফাটানো হচ্ছে আবির।
অন্যদিকে জয়ের ইঙ্গিত আসার পরেই একের পর এক নেতারা আসতে শুরু করেছেন কালীঘাটের বাড়িতে। ইতিমধ্যে মমতার বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসেছেন আরও অনেকজন। সূত্রের খবর, খোশমেজাজেই রয়েছেন আজ মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। এমনটাই সূত্রের খবর। তবে বারবার কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
উলেখ্য, এদিন সকালেই ফলাফলের ট্রেন্ড দেখে খুশি মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলাফলের প্রাথমিক ট্রেন্ড দেখেই দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপরেই কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূলনেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমূল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় ফিরবে। সূত্রের খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের কথা। তৃণমূল ত্যাগের আগে এই দুই জেলায় দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাছাড়া এই দুটি জেলাই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘরের মাঠেই ভাল ফলের ইঙ্গিত পেয়েছে তৃণমূল। মালদহে তৃণমূল এতদিন ছিল তৃতীয় শক্তি। সেখানেও এবার কার্যত প্রথম শক্তি হিসেবে উঠে আসছে তৃণমূল। তাতে খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, এমন ফলাফল বোধহয় ভাবতে পারেননি বিজেপি। হেস্টিংসের অফিসে সকাল থেকে ভিড় থাকলেও বেলা বাড়তেও ফাঁকা। বিশাল প্যান্ডেল করা হয়েছিল। সেখানেও কেউ নেই। কিছুক্ষণ আগে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় থাকলেও তিনিও বেরিয়ে যান। যাওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত ফল দেখতে হবে। তবে কার্যত হার স্বীকার করে নিয়েছেন কৈলাশ। তিনি জানিয়েছেন, বাংলার ফল নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।