মালদহ: চরম হতাশজনক ফল সংযুক্ত মোর্চার। আর মানরক্ষার লড়াইয়ে মালদহে গণি খান মিথ ভেঙে টিএমসির বড়সড় উত্থান। গণির গড়ে ধরাসায়ী কংগ্রেস। আসন পেলো বিজেপি। কংগ্রেসের দুর্গে ফাটল ধরিয়ে নিজেদের প্রভাবিত এলাকা ধরে রাখলো বিজেপি।

ইংরেজবাজারে পরাজিত প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। চাঁচল থেকে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের নিহার রঞ্জন ঘোষ। মার্জিন বাড়িয়ে কংগ্রেসের দুর্গ চুরমার করে রেকর্ড ভোটে জিতলেন সুজাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আব্দুল গনি।

মালদহে রয়েছে ১২ টি বিধানসভা কেন্দ্র। যার মধ্যে নয়টি আসন দখল করেছে তৃণমুল কংগ্রেস। মালদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী কিছুদিন আগে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত বিজেপির গোপাল চন্দ্র সাহা। এদিন গণনা শুরু হতে সুজাপুর কেন্দ্রে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে তৃণমূলের ভোট। কিছুক্ষণের মধ্যে কার্যত চোখের জল নিয়ে গণনা কেন্দ্র ছাড়েন কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী।

ইংলিশবাজারে জিতলেও জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র মন্ডল বলেন, সারা রাজ্যে যে যেরকম ফল হয়েছে তুলনায় জেলার ফলাফল যা আশা করেছিলাম তাই হয়েছে। অনেক আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসুম নূর বলেন,ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে উন্নয়নের জয়। কংগ্রেস উন্নয়নের কাজ করত না। আগেই উত্তর মালদার মানুষ তৃণমূলের উপর ভরসা করেছিল।এবার গোটা জেলাবাসী তাই করলেন।

যদিও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আরও করুণ অবস্থা বামেদের। গোটা রাজ্যেই তাদের শক্তি গত লোকসভা ভোটে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল। তার পরেও বাম কংগ্রেস জোট ছিল অটুট। সেই জোটে পরে আইএসএফ যোগ দেয়। জোটপন্থীরা আশা করেছিলেন বিজেপির সংখ্যাগুরু তাসকে টেক্কা দিতে গিয়ে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক সংযুক্ত করা। তৃণমূল কংগ্রেসও সেই পথ নেয়। সরকারকেই বেছে নিয়েছে সংখ্যালঘুরা তা স্পষ্ট।

মালদহ মুর্শিদাবাদ দুটি জেলাতেই সংখ্যালঘু ভোট গুরুত্বপূর্ণ । ফলাফল বলছে, সেই ভোটের বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে। আর ভোটকাটাকাটির ফসল ঘরে তুলেছে বিজেপি। কংগ্রেসের দুর্গ, গণি খান চৌধুরীর ইমেজ সব ভেঙে খানখান জেলায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.