নয়াদিল্লি: কোনওভাবেই রাশ টানা যাচ্ছে না সংক্রমণে। দৈনিক করোনার গ্রাফ সাড়ে তিন লক্ষ পেরিয়ে এবার পৌঁছে গেল ৪ লক্ষে। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মে মাসে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে গিয়ে পৌঁছবে। দৈনিক করোনা গ্রাফ সেই কথাই প্রমাণ করছে। এইই প্রথম বিশ্বে কোনও দেশে দৈনিক আক্রমণের সংখ্যা পেরলো ৪ লক্ষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জন। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে তিন হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন ৩ হাজার ৫২৩ জন। সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ১১ হাজার ৮৫৩ জনের মৃত্য হয়েছে। অ্য়াক্টিভ মামলার সংখ্যা ৩২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭১০। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৮৮ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০৬ জন। এখনো পর্যন্ত ১৫ কোটি ৪৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৩৫ জনকে টিকাকরণ করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে দেশজুড়ে টিকাকরণ চলছে। আজ থেকে ১৮ বছরেরে ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। যদিও একাধিক রাজ্যে এই কর্মসূচি আপাতত স্থগিত। একাধিক রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে তাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা নেই। ফলে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে করোনা যখন ভয়াবহ, তখনও সুরক্ষার জন্য টিকাকরণ সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২.৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ Co-Win অ্যাপে টিকাকরণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। তার মধ্যে ২৮ এপ্রিল, প্রথম রেজিস্ট্রেশনের দিন ১.৩৭ কোটি মানুষ এবং ২৯ এপ্রিল দ্বিতীয় রেজিস্ট্রেশনের দিন ১.০৪ কোটি মানুষ নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। কিন্তু তাঁদের টিকাকরণ নিয়ে দেখা গিয়েছে সংকট। বিশেষ করে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের সবচেয়ে বেশি আকাল দেখা দিয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী ১ কোটির বেশি করোনা ভ্যাকসিন বর্তমানে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে এখন রয়েছে। ২০ লক্ষ ভ্যকসিন পাঠানো হচ্ছে। সমস্ত দেশে এখনও পর্যন্ত ১৬.৩৩ কোটি ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র যতই ভ্যাকসিন রয়েছে বলে জানাক, একাধিক রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে। তাদের কাছে ভ্যাকসিন নেই। ফলে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ছে তারা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.