রাত পোহালেই বাংলার ভোটের ফলপ্রকাশ। ফলপ্রকাশের দিন প্রথা ভেঙে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি নন্দীগ্রামে থাকবেন নাকি এবারও কালীঘাটে্র বাড়িতে নিজেকে আবদ্ধ রাখবেন? টানা তৃতীয়বার তিনি ক্ষমতায় আসছেন কি না, তার ফলপ্রকাশের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করলেন তিনি থাকছেন কালীঘাটেই।
২০১১ সালের ১৩ মে ভোট গণনার দিন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী যেমন বেলা ১১টার আগে ঘর থেকে বের হননি, তেমনই ২০১৬ সালের ১৯ মেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে আবদ্ধ রেখেছিলেন কালীঘাটে নিজের বাসভবনে। এবার ২ মে তাঁর হ্যাটট্রিকের নির্বাচনেও তিনি প্রথা ভাঙবেন না বলে জানিয়ে দিলেন।
অর্থাৎ গত দু-বারের মতো এবারও তিনি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিন কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরোবেন না। এবারও দল প্রত্যাশিত জয় পাবে বলে তাঁর বিশ্বাস। সে জন্য সবাইকে গণনাকেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রার্থী ও এজেন্টদের ভোকাল টনিক দিয়ে তিনি জানিয়েছেন মাট কামড়ে পড়ে থাকতে, জয় হবেই।
করোনা সংক্রমণের বাড়াবাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে প্রবেশাধিকার। ফলপ্রকাশের পরও সেই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগের দুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢল নেমেছিল মানুষের। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই ফলাফ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে গেলেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রবেশাধিকার।
এবার ফলাফলের উপর বজর রাখতে কালীঘাট ও তৃণমূল ভবনে পৃথক দুটি কন্ট্রেলরুম খোলা হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। তা কালীঘাট থেকেই পরিচালিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে বসেই যাতে সমস্ত কেন্দ্রের খবর রাখতে পারেন এবং সমস্ত প্রার্থী ও নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন, তার ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ।