রাজধানীতে অক্সিজেনের আকাল ক্রমেই চরম আকার নিচ্ছে। বারংবার হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকার দিল্লির হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। শনিবারও দ্রুত দিল্লিতে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। নয়তো আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। ঠিক এমনই কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
বাত্রা হাসপাতাল হাইকোর্টকে জানিয়েছে যে তারা সঠিক সময়ে অক্সিজেন না পাওয়ার জন্য এক চিকিৎসক সহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল হাইকোর্টকে জানিয়েছে, 'আমরা সময় মতো অক্সিজেন পাইনি। আমাদের অক্সিজেন ফুরিয়ে যায় দুপুর ১২টায় এবং আমরা আমরা তা পাই ১টা ৩৫ মিনিটে।’ হাইকোর্টের নির্দেশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাত্রা হাসপাতালে একটি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার পৌঁছায়। আরও একটি হাসপাতাল এনকেএস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হাইকোর্টকে জানিয়েছে যে তারা এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
এরই মাঝে অক্সিজেনের ঘাটতির ভুয়ো দাবি করার জন্য গান্ধী হাসপাতালকে সতর্ক করে দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলে, 'গান্ধী হাসপাতালে অকঞসিজেনের ঘাটতির দাবি মিথ্যা বলে জানিয়েছে আমাদের দিল্লি সরকার। আমরা আশা করব এ ধরনের কাজের পুনরাবৃত্তি হবে না কারণ এটার জন্য প্রশাসনের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। সতর্কতা জারি করা হয় গান্ধী হাসপাতালের বিরুদ্ধে।’
আজই দিল্লিতে অক্সিজেন পাঠানোর নির্দেশ, অন্যথায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের
গত ১ এপ্রিল থেকে দিল্লি হাসপাতালে অক্সিজেন বেড দখল করে রাখা রোগীদের বিশদ তথ্য জানতে চায় হাইকোর্ট। হাইকোর্ট ১ এপ্রিল থেকে অক্সিজেন বেড দখল করে রয়েছেন রোগীদের তথ্য জমা দিতে বলে দিল্লি সরকারকে। আদালত জানায়, 'একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যার উপর আমরা সরকার ও হাসপাতালগুলির প্রতিক্রিয়া জানতে চাই। সমস্যাটি হল হাসপাতালের বেড সহজলভ্য হওয়া।’ এদিন কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরা বলেন, 'যথেষ্ট হয়েছে। জল মাথার উপর পৌঁছে গিয়েছে। দিল্লিতে মানুষ মরছে, আমাদের কি চোখ বুজে থাকতে বলছেন? ৪৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দিল্লিতে দ্রুত বন্টন করুন। আপনারাই এই রূপরেখা তৈরি করেছিলেন তা পালন করুন। নয়তো আদালত অবমাননার মতো অভিযোগ আসবে।’ সোমবার পুরো বিষয়টির পরবর্তী শুনানি হবে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।