রাজভবনে মিঠুন
পাঁচ বছরের জন্যে সরকারে কে? আর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর তার আগেই রাজভবনে পৌঁছলেন মিঠুন চক্রবর্তী। হঠাত কেন রাজভবনে মিঠুন! তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ভোটের আগে মোদীর হাত ধরে বিজেপিতে আসেন মিঠুন। এরপর একের পর এক বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন। প্রার্থীদের নিয়ে রোড শো করেছেন। কেন বাংলায় বিজেপি সরকার প্রয়োজন তা নিয়ে ভাষণে একাধিক যুক্তি দিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে একাধিক জল্পনা রয়েছে। আর এর মধ্যেই ভোট গণনার ঠিক আগের দিন ধনকরের সঙ্গে দেখা করলেন মিঠুন।
সৌজন্য সাক্ষাত বলেই দাবি
যদিও রাজভবন সূত্রে খবর, এটি সম্পূর্ণ সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে মিঠুনের পরিচয় বা জনপ্রিয়তার ব্যপ্তি অনেক বেশি। তাই সেই জায়গা থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে খবর। তবে সূত্রের খবর, সকাল সকাল রাজভবনে পৌঁছে যান মিঠুন। প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকে রয়েছেন মিঠুন। তবে সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও, বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে কিছু আলোচনা হতেই পারে দুজনের। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি
রাজভবন থেকে বেরিয়ে মিঠুন বলেন, রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমি যখন অসুস্থ হয়ছিলাম তখন রাজ্যপাল আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। সুস্থ হয়েই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলাম। দুজনে চা খেলাম, আড্ডা মারলাম। ব্যাস। এমনটাই দাবি করলেন মিঠুন
মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসাবে মিঠুনের নাম নিয়ে জল্পনা
গত এক মাস ধরে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ভোট প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপির হয়ে প্রচার করলেও ভোটে লড়েননি তিনি।মিঠুন ভোটে দাঁড়াবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বারবার। যদিও সেই সম্ভাবনার কথা নিজেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন বাঙালির প্রিয় অভিনেতা। তবে জনসভায় গিয়ে তিনি বলেছিলেন, বিজেপি ওপর মহল থেকে শুরু করে রাজ্যস্তরে, সব নেতারাই তাঁকে টিকিট দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু মিঠুনের বক্তব্য ছিল, টিকিট পাওয়া বা অন্য কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেননি তিনি। মানুষের জন্যে কাজ করতে চান বলে বারবার দাবি করেছেন। এমনকি গুঞ্জন শোনা যায়, ভূমিপুত্র মিঠুন চক্রবর্তীও নাকি মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
বিজেপি শিবিরে বৈঠক
এবার সেই ভোট উৎসবের পর্ব শেষের পথে। ফল প্রকাশ হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। শোনা যাচ্ছে, ক্ষমতায় এলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? অন্যান্য দফতরই বা পাবেন কারা? তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে গেরুয়া শিবিরে। আর এরই মধ্যে মিঠুনের এই সাক্ষাৎ জল্পনা বাড়াচ্ছে। যদিও প্রাথমিক আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দিলীপ ঘোষের নামই উঠে আসছে বলে জানা যাচ্ছে।