কলকাতা: নোভেল করোনা ভাইরাস নামটার সঙ্গে গোটা বিশ্ব পরিচিত হয়েছে ২০১৯ সালের শেষের দিকে। এই ভাইরাস পরিবর্তন করেছে মানুষের চিরাচরিত জীবন-যাপন। তার কারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভারতে চালু করা হয়েছিল লকডাউন পরিষেবা। ২০২০ সালে এই লকডাউনের সময় বন্ধ রাখা হয় অফিস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। নতুন একটি পথ অনলাইনে কাজ করতে হয় সমস্ত মানুষকে। স্কুল কলেজের ক্লাসরুমগুলি চলে আসে মোবাইল অথবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মধ্যে। এমনকি অফিসের মিটিং থেকে কাজ সমস্ত কিছু করতে হয় বাড়ি বসে অনলাইন মাধ্যমে।
স্কুলের অনলাইন ক্লাস হোক কিংবা অনলাইনে অফিসের কাজ সমস্ত কিছু করতে হচ্ছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা মোবাইলের মাধ্যমে। আর এই সমস্ত কাজ করতে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয় স্ক্রিনের দিকে। একভাবে তাকিয়ে থাকার ফলে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখের। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন এই ডিভাইসগুলি একভাবে দেখার ফলে আমাদের চোখ থেকে জল পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, মাথার যন্ত্রণা এমনকি চোখ শুকিয়ে যেতে পারে।
তবে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন হতে পারে এই পরিস্থিতিতে তো বাড়িতে বসে কাজ করতে হবে, তাহলে চোখের সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়ার উপায় কী? উত্তরে বলা যেতে পারে প্রতিবেদনে দেওয়া বিষয়গুলি মেনে চললে কমতে পারে চোখ সংক্রান্ত রোগের সমস্যা।
চোখ ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সারাদিন একভাবে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে কাজ করার সঙ্গে চোখ ভালো রাখতে জল খেতে হবে ৬ থেকে ৮ গ্লাস। অতিরিক্ত জল খাওয়ার ফলে চোখ পরিষ্কার থাকার সঙ্গে শরীরের ডিহাইড্রেশনের পরিমাণ ঠিক থাকবে।
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এই কথাটা আমরা সব জায়গায় দেখে এবং শুনে থাকি। করোনাকালে বিশেষ করে চিকিৎসকেরা ধূমপান এড়িয়ে চলতে বলছে। হার্টের সমস্যা থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে থাকে ধূমপানে। এবার এই তালিকায় যোগ হয়েছে চোখের সমস্যাও। চোখ ভালো রাখতে ধূমপান বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে একাধিক চিকিৎসকের তরফে।
আমারা সকলে জানি মোবাইল অথবা ল্যাপটপের স্ক্রিনের আলোতে চোখের ক্ষতি হয়। এই কারণে এখন সমস্ত মোবাইল আই প্রোটেকশন মোড চালু করছে। তার পরেও একভাবে আমাদের মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকানো উচিত নয়। কাজ করার সময়ে কম করে ২০ মিনিট চোখ সরিয়ে রাখা উচিত ডিভাইসগুলোর স্ক্রিন থেকে।
সূর্যের টানা রোদের ফলে আমরা অনেক সময় অন্ধকার দেখে থাকি। এর ফলে আমাদের চোখের অনেক ক্ষতি হয়। সেই কারণে চোখ ভালো রাখতে বাড়ির বাইরে গেলে সানগ্লাস পরে বেড়ান উচিত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.