মহারাষ্ট্র তথা মুম্বইয়ের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। করোনা সংক্রমণ দমন করতে মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করেছে। তবে বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের একটি টিকাকরণ কেন্দ্রে উপচে মানুষে উপচে পড়া ভিড় দেখার পর মুম্বইয়েক মেয়র টুইটে অনুরোধ করেছেন যে অযথা যেন বাড়ি থেকে কেউ না বের হন।
মেয়র মুম্বইবাসীর উদ্দেশ্যে জানান, ৪৫–৬০ বছর বয়সী নাগরিকদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ১৮–৪৪ বছরের নাগরিকরা রেজিস্ট্রার ও মেসেজ পাওয়ার পরই তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। টিকাকরণ কেন্দ্র জানিয়ে দেবে যে কবে টিকা দেওয়া হবে। এটা ছাড়াও মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকার আবেগঘন আবেদন করে হাত জোড় করে বলেন, 'মাস্ক পরুন, ডবল মাস্ক। অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।’ তিনি আরও বলেন, 'কোউইন অ্যাপে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁরা মেসেজ পাওয়ার পর টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতে পারেন। মেসেজ না পাওয়া পর্যন্ত টিকাকরণ কেন্দ্রে যাবেন না। নাম নথিভুক্ত করার পরও যদি মেসেজ না আসে তবে টিকাকরণ কেন্দ্রে যাবেন না।’
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের মহামারি সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় সংক্রমণের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে উদ্ধব ঠাকরের সরকার প্রথমে নৈশ কার্ফু ঘোষণা করলেও পরে পূর্ণ লকডাউন কার্যকর করতে বাধ্য হয়। এরই মাঝে ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টিকা নেওয়ার জন্য লাইন পড়ে যায় নেসকো টিকাকরণ কেন্দ্রর বাইরে। মুম্বইবাসী এদিন খুব ভোর থেকে টিকা নেওয়ার জন্য এখানে এসে হাজির হন। নেসকো টিকাকরণ কেন্দ্রের বাইরে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, টিকাকরণ শুরু হওয়ার আগে লাইন বা ভিড় থাকলেও, সকাল দশটার পর টিকাকরণ শুরু হওয়ার সময় লোকজনকে ভেতরে নিয়ে আসা হয় এবং বসার জায়গা দেওয়া হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার টিকাকরণ কেন্দ্রের বাইরের রাস্তায় মানুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। প্রসঙ্গত, বুধবার ভ্যাকসিনের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে মাঝপথেই নেসকো সহ শহরের বহু টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার জেরে অনেকেই টিকা না নিয়ে ফিরে আসেন । তাই বৃহস্পতিবার ভোর হতেই মুম্বইবাসী টিকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। এত মানুষের জমায়েতের ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা হতে পারে। তাই মেয়র আগে থাকতেই মুম্বইবাসীকে সতর্ক করে দিলেন।