নয়াদিল্লি : সারা দেশের সঙ্গে দিল্লির করোনা সংক্রমণে (Delhi Corona Situation) চূড়ান্ত খারাপ অবস্থা। মৃত্যু মিছিল চলেছে দিল্লিতে রোজ। জ্বলন্ত চিতার আগুনরে ঝলসে যাচ্ছে জীবিত মানুষদের মন-প্রাণ। এই পরিস্থিতি কেন হলো, তা নিয়ে দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court) কেন্দ্রকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করল। দিল্লি হাই কোর্ট এই প্রসঙ্গে তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছেন মানুষ মারা যাচ্ছে। অক্সিজেন কোথায়? এই পরিস্থিতি দেখে আদালত চোখ বুজে বসে থাকতে পারে না। আগামী সোমবার আবার এই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাই কোর্টে।
এর আগে কেন্দ্রের ভ্যাকসিন-নীতি (Vaccine Policy) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Courte)। ভ্যাকসিন সঙ্কট (Vaccine Crisis) নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকার কেন ১০০% ভ্যাকসিন কিনে নিচ্ছে না? কেন একাংশ কিনে বাকিটা নির্মাতা সংস্থার ওপর ছেড়ে দেওয়া হল ? রাজ্যগুলির চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা কীভাবে করবে টিকা নির্মাতা সংস্থা? কোন রাজ্য আগে, কোন রাজ্য পরে ভ্যাকসিন পাবে, তা নির্ধারণের নীতি কী? ১৮-৪৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ঠিক কত, জানাক কেন্দ্রীয় সরকার। টিকা তৈরিতে বেসরকারি সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ শুরু করেছে। টিকা তৈরিতে কেন্দ্র বিনিয়োগ করুক, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। টিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে এভাবেই স্পষ্ট বার্তা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে কো উইন অ্যাপ ব্যবহারের কেন্দ্রীয় নির্দেশ নিয়েও কেন্দ্রকে সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, যারা লিখাপড়া জানে না, যারা লিখতে পারেন না তাহলে তারা নাম লেখাতে পারবেন না? তবে তাঁদের ভ্যাকসিনেশন কীভাবে হবে?
এদিকে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ সঙ্কট বাড়িয়েই চলেছে। আরও এক সপ্তাহ দিল্লিতে লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোনও ভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে অক্সিজেনের অভাবে রোজ দিল্লিতে মানুষ মারা যাচ্ছে। পাচ্ছেন না করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা হয়। তারই শুনানিতে দিল্লি হাই কোর্ট ভিড়ৎসনা করল কেন্দ্রকে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির ও সারা দেশের করোনা সংকট কী ভাবে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে আনে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। কেননা শনিবার দেশের করোনা সংক্রমণ সারা বিশ্বের নিরিখে সবচেয়ে বেশি হয়ে ৪ লক্ষে পৌঁছেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.