নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রায় প্রতিদিনই সাড়ে তিন লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ১ মে থেকে তৃতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের এদিন থেকে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র।

কিন্তু সেই টিকাকরণ এখন বিশ বাঁও জলে। কারণ, একাধিক রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে তাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা নেই। ফলে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে করোনা যখন ভয়াবহ, তখনও সুরক্ষার জন্য টিকাকরণ সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২.৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ Co-Win অ্যাপে টিকাকরণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। তার মধ্যে ২৮ এপ্রিল, প্রথম রেজিস্ট্রেশনের দিন ১.৩৭ কোটি মানুষ এবং ২৯ এপ্রিল দ্বিতীয় রেজিস্ট্রেশনের দিন ১.০৪ কোটি মানুষ নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। কিন্তু তাঁদের টিকাকরণ নিয়ে দেখা গিয়েছে সংকট। বিশেষ করে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের সবচেয়ে বেশি আকাল দেখা দিয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী ১ কোটির বেশি করোনা ভ্যাকসিন বর্তমানে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে এখন রয়েছে। ২০ লক্ষ ভ্যকসিন পাঠানো হচ্ছে। সমস্ত দেশে এখনও পর্যন্ত ১৬.৩৩ কোটি ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কেন্দ্র যতই ভ্যাকসিন রয়েছে বলে জানাক, একাধিক রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে। তাদের কাছে ভ্যাকসিন নেই। ফলে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ছে তারা। দিল্লি সরকার ঘোষণ করেছে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা নেই। প্রাইভেট কোম্পানির থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে তারা। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে ভ্যাকসিন নেই। আমরা কোম্পানিকে ভ্যাকসিনের জন্য অনুরোধ করেছি। যখন ভ্যাকসিন আসবে, আমরা আপনাদের জানাব।” এছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই বলে ঘোষণা করেছে শিল্পনগরী মুম্বই। এই খবর জানিয়েছেন বৃহৎমুম্বইয়ের অতিরিক্ত পুর কমিশনার অশ্বিনী বিদে। তিনি টুইট করে বলেন, ” পর্যাপ্ত টিকার সরবরাহ না থাকায় আগামী ১ মে থেকে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের তৃতীয় দফার ভ্যাক্সিন প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।”

একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গেও। ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে রয়েছেন এমন মানুষদের ১ মে থেকে করোনা ভ্যাকসিন দিতে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন লাগবে সেটা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে নেই। তাই সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের মাথায় চিন্তা। এই পরিস্থিতিতে সবটাই যাতে নাগালের বাইরে চলে না যায় তার জন্য রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতর পুলিশের সাহায্য আগাম চেয়ে রেখেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, “সরকারি অপরিকল্পনার ফলেই ভ্যাকসিন নিতে এসে মানুষ হয়রান হচ্ছেন। আর ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষের করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনাও বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কি করে ১ মে থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে?”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.