নয়াদিল্লি : দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে টলোমলো দেশ। তবে এই পরিস্থিতিতেও জিএসটি (GST) বাবদ রেকর্ড পরিমাণ টাকা আয় করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry) শনিবার এই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছেন। সেই তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে , ২০২১-এর এপ্রিল মাসে জিএসটি বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগারে এসেছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই তথ্য থেকে দেশের অর্থনৈতির অবস্থা পুনরুদ্ধারের আভাস পাওয়া যাচ্ছে । প্রসঙ্গত, গত ২০২০-র লকডাউনের সময় থেকেই দেশের অর্থনীতি চূড়ান্ত সংকটে পড়েছিল।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে , গত মার্চে জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের আয় হয়েছিল ১ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে একলাফে অনেকটাই বেড়েছে এবারের জিএসটি থেকে আয়। শতাংশের হিসেবে যা হচ্ছে পূর্বের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি । যা অনেকটাই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে , ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে এটাই পর্যন্ত এখনও জিএসটি থেকে সবচেয়ে বেশি মাসিক আয়। এর মধ্যে কেন্দ্রের ভাগে জমা পড়েছে ২৭ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। রাজ্যগুলি থেকে জমা পড়েছে ৩৫ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। এছাড়াও আমদানিকৃত পণ্যের উপর জিসটি থেকে আয় হয়েছে ৬৮ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে সেস বাবদ আয় হয়েছে ৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। এই আয় বৃদ্ধি প্রমাণ করছে, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরেও দেশের ব্যবসায়ীরা ঠিক সময়ে রিটার্ন ফাইল করেছেন ও নিজেদের বকেয়া জিএসটি মিটিয়ে দিয়েছেন ।

অর্থ মন্ত্রক (Ministry of Finance) জানিয়েছে, গত সাত মাস ধরেই জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের আয় ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরেই রয়েছে এবং জিএসটি থেকে কেন্দ্রের আয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। জিএসটি থেকে এই আয় বৃদ্ধি বুঝিয়ে দিচ্ছে দেশের আর্থিক অবস্থা ধীরে ধীরে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে সাবালক হওয়ার দিকে যাচ্ছে । জিএসটি বাবদ এই আয়বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কেন্দ্রের যুক্তি , ভুয়ো বিলের উপরে নজরদারি থেকে শুরু করে সমস্ত নথিরপত্রের যথাযথ হিসেব মিলিয়ে নেওয়ার ফলেই এই রেকর্ড পরিমাণ আয় জিএসটি থেকে হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.