নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে লাগামহীনভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কমবেশি প্রতিটি রাজ্য়েই বাড়ছে করোনার গ্রাফ। এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে অক্সিজেন, রেমসেডিভির ও হাসপাতালে শয্যার পাশাপাশি প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থের। এবার সেই অর্থেরই জোগান দিল কেন্দ্র।

করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে যাতে অর্থ সংকটের সম্মুখীন না হতে হয়, তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে রাজ্যগুলির প্রাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। শুধু তাই নয়, এই অর্থ বরাদ্দ করার আগে আগের বছরের বরাদ্দের ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ও খতিয়ে দেখা হয়নি। অর্থাৎ, আগের বছরে বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে বরাদ্দ অর্থ সঠিকভাবে খরচ হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে না দেখেই নতুন করে এই অর্থ বরাদ্দ হল।

ভারতে করোনা পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ। দৈনিক করোনার গ্রাফ সাড়ে তিন লক্ষ পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে ৪ লক্ষে। গোটা বিশ্বে যা রেকর্ড। এইই প্রথম বিশ্বে কোনও দেশে দৈনিক আক্রমণের সংখ্যা পেরলো ৪ লক্ষ। এর মধ্য়ে আবার দেশের সর্বত্র অক্সিজেনের জন্য দেখা দিয়েছি হাহাকার। হাসপাতালে শয্যা নেই। করিডোরে ঠাঁই হয়েছে মানুষের। কখনও আবার হাসপাতালের দোরে দোরে ঘুরে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছে রোগীরা। শ্মশানের বাইরেও দীর্ঘ লাইন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জন। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে তিন হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন ৩ হাজার ৫২৩ জন। সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ১১ হাজার ৮৫৩ জনের মৃত্য হয়েছে। অ্য়াক্টিভ মামলার সংখ্যা ৩২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭১০। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৮৮ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০৬ জন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.