নয়াদিল্লি: দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেও চিন চুপিচুপি পূর্ব লাদাখে (Ladakh) নিজের অবস্থান আরও দৃঢ় করছে। শীতকাল শুরুর আগেই চিনা সেনাবাহিনী পূর্ব লাদাখের গভীর অঞ্চলগুলিতে স্থায়ীভাবে থাকার বন্দোবস্ত করছে। এদিকে আবার ভারতের সঙ্গে আলোচনাও অব্যাহত রেখেছে তারা।
ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পর প্যাংগং হ্রদ থেকে দুই দেশই তাদের সেনা সরিয়ে নেয়। কিন্তু বর্তমানে চিন ফের নতুন করে লাদাখে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করেছে। আকসাই চিনের উত্তরে কংসিওয়ার এবং তিব্বতের লাদাখ সীমান্তের রুডোকের মধ্যে ঘাঁটি গাড়ছে লাল ফৌজ। ভারতীয় সুরক্ষার গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্সের মতে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) দীর্ঘ সময় ধরে এখানে রয়েছে। কিছুদিন চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সহানুভূতির বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চিনা ভারতকে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি এও বলেছিলেন, তাঁর বিশ্বাস ভারতীয় জনগণ মহামারী থেকে জয় লাভ করবে।
বোঝাই যাচ্ছে, চিন সরকার কূটনৈতিক প্রচারের বিপরীতে গিয়ে সেনাবাহিনীকে নিঃশব্দে শক্তিশালী করেছে। এও জানা গিয়েছে যে চিন শীতের আগে যে জায়গাগুলিতে অবস্থান করার কথা ভাবছে সেখানে স্থায়ী কাঠামো, থাকার ব্যবস্থা এবং সামরিক বিল্ডিংও তৈরি করছে। গোয়েন্দা অনুমান অনুসারে কংসিওয়ার এবং রুডোকে অবস্থিত ১০ হাজার স্থায়ী চিনা সেনা এবং ১০ হজার অতিরিক্ত অস্থায়ী চিনা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা চিনা আগ্রাসনের জেরে গত বছর ভারতীয় সেনারা শহিদ হন। তারপর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে অবনতি হতে শুরু করে। জট কাটাতে সামরিকস্তরে দফায়-দফায় বৈঠক হয়। কূটনৈতিকস্তরেও পরপর আলোচনা চলে। কিন্তু একের পর এক বৈঠকেও সমাধান সূত্র মেলেনি। শেষমেশ সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে দফায়-দফায় বৈঠকে আপাতত শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্যাংগং লেক অঞ্চল থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে ভারত ও চিন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বরাবরই সীমান্ত বিবাদ মেটাতে সদর্থক ভূমিকায় জোর দিচ্ছিলেন। একদিকে সামরিকস্তরে যেমন আলোচনা চলছিল, তেমনি কূটনৈতিক পথেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী। সমস্যা মেটাতে চিনকেও উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.