নয়াদিল্লি: দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন একাধাকি ক্রিকেটার৷ ব্যতিক্রম নন দিল্লি ক্যাপিটালস ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান৷ সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের পর ‘Mission Oyxgen’-এ অর্থ দান করলেন টিম ইন্ডিয়ার বাঁ-হাতি ওপেনার৷ দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে ‘Mission Oyxgen’ help fund-এ ২০ লক্ষ টাকা দান করেন ‘গব্বর’৷

শুক্রবার নিজের টুইটারে অ্যাকাউন্টে আইপিএলে জেতা ক্যাশ প্রাইজ রিলিফ ফান্ডে দান করার প্রতিশ্রুতি দেন ধাওয়ান৷ টুইটারে তিনি লেখেন, “We are in unprecedented times right now, and it is the need of the hour that we do everything possible to help each other out.” অর্থাৎ আমরা এক অভুতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি৷ এই সময়ে আমাদের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো৷

সোশাল মিডিয়ার ওই বিবৃতিতে ধাওয়ান জানান, ‘আমি ২০ লক্ষ টাকা দান করছি৷ এছাড়াও ২০২১ আইপিএলে ম্যাচে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ফলে যে পুরস্কার অর্থ পাব তা Mission Oxygen help fund-এর মাধ্যমে অক্সিজেনের প্রয়োজন মেটাতে দান করব৷’

বৃহস্পতিবারই ‘Mission Oxygen’ ফান্ডে এক কোটি টাকা দান করে অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সচিন তেন্ডুলকর৷ টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবায় মারাত্মকভাবে চাপ পড়েছে৷ কোভিড আক্রান্তদের জন্য অক্সিজেন ভীষণ প্রয়োজন৷ দেখে ভালো লাগছে, এই পরিস্থিতিতে সকলে এগিয়ে আসছে। ২৫০-এর উপর কিছু যুবক-যুবতী “Mission Oxygen” নামক একটি প্রকল্প শুরু করেছে। অর্থ সংগ্রহ করে, সেটা দিয়ে অক্সিজেন আমদানি করে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দান করছে। আমি এই উদ্যোগে সামিল হয়েছি। অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান করছি৷ যাতে ওরা দেশের আরও বেশি হাসপাতালে তাড়াতাড়ি অক্সিজেন পৌঁছে দিতে পারে।’

এর আগে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে দাঁড়াতে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে দুই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিও৷ অক্সিজেন-সহ প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য ৭.৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করেছে রাজস্থান রয়্যালস৷ তার পরেই ১.৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করেছে দিল্লি ক্যাপিটালসও৷ তবে দেশের অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম এগিয়ে এসেছিলেন আসেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে খেলা অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলার প্যাট কামিন্স৷

কোভিড যুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে এই অজি ক্রিকেটার অক্সিজেন কেনার জন্য PM Cares Fund-এ ৫০ হাজার ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা দান করেছেন কামিন্স৷ তার পরে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন প্রাক্তন অজি ক্রিকেটার ব্রেট লি৷ ভারতকে তাঁর ‘দ্বিতীয় ঘর’ আখ্যা দিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১ বিটকয়েন (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা) দিয়ে সাহায্য করেন প্রাক্তন অজি তারকা ক্রিকেটার। এছাড়াও বুধবার একই কারণে ৯০ হাজার দান করেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল খেলা বাঙালি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শ্রীবৎস গোস্বামী৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.