শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কলকাতায় রাখতে চান কমিশনার
কয়েকটি বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। যদিও দু একটা বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে ঠিকই। কিন্তু এমন কোনও বড় কিছু ঘটেনি। এই অবস্থায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে চান কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র। আর সেই কারনে সমস্ত থানার ওসিদের সতর্ক করলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। গত ৪৮ ঘন্টা থেকেই প্রস্তুত হতে থানার ওসি-দের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ভোটের ফল পরবর্তী হিংসা ঠেকানোর জন্য শহরে থাকছে ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে ৯ কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে শহরের ১৫টি গণনা কেন্দ্রে। বাকি বাহিনীকে বিভিন্ন ডিভিশনে শান্তি বজায় রাখার কাজে ব্যবহার করা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে।
ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কমিশনার
সমস্ত থানার আধিকারিকদের সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কমিশনার সৌমেন মিত্র। সেখানে পুলিশ আধিকারিকদের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কড়া থাকতে বলা হয়েছে। এমনকি কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকদের কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই থানাগুলিকেও পরিকল্পনা করার নির্দেশ। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে কোনও রকম বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাই সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
অশান্তির আশঙ্কা থাকলে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
ভোট মেটার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। ভোটের ফলাফলের পর কলকাতাতেও যে অশান্তি হতে পারে না সে বিষয়ে আগে থেকে থানাগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ। লালবাজার সূত্রের খবর, ভোটের ফল ঘোষণার পরে শহরের যে সব জায়গায় গন্ডগোল ছড়ানোর আশঙ্কা আছে, সেই এলাকাগুলি বেছে নিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে ওসি-দের। দরকারে সেখানে পুলিশ পিকেটও বসানো হতে পারে বলে খবর। গোলমালের আশঙ্কায় সব থানাকে সতর্ক থাকতে বলেছে লালবাজার। ছোট কোনও ঘটনা যাতে বড় আকার না নেয়, তা দেখতে বলা হয়েছে আধিকারিকদের। এ ছাড়াও বিভিন্ন ডিভিশনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাঁরা দ্রুত সেখানে পৌঁছতে পারে।
পুলিশ এলাকায় ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গণনা
কলকাতা পুলিশ এলাকায় ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গণনা রয়েছে । সেখানেই তৈরি হয়েছে স্ট্রং রুম। সকাল থেকেই ভোট গণনা কেন্দ্রগুলিতে ভিড় বাড়বে। সে জন্যে সতর্ক থাকার নির্দেশ। কলকাতা পুলিশ এলাকা ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিনটি কেন্দ্রের ইভিএম রয়েছে সেখানে। প্রতিটি স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে এক প্ল্যাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাতে থাকছেন ২৪ জন জওয়ান। গণনা কেন্দ্রের বাইরের নিরাপত্তা দেখার কথা কলকাতা পুলিশের। তার জন্য এক জন ইনস্পেক্টরের নেতৃত্ব ১৫ জনের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।