সূর্যমণ্ডলের বাইরে তৈরি হচ্ছে আস্ত একটা গ্রহ! নাসা শেয়ার করল ‘বিস্ময়কর’ ছবি

গ্রহ তৈরি হয়েছে কীভাবে, তার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ না থাকলেও, সৌরমণ্ডলের ইতিহাস ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণই ভরসা। কিন্তু চোখের সামনে যদি দেখা যায় আস্ত একটি গ্রহ তৈরি হচ্ছে, অবাক লাগারই কথা। নাসার সৌজন্যে এবার সেই অসম্ভবও সম্ভব হচ্ছে এবার। নাসার হাবল টেলিস্কোপ বৃহস্পতির মতো একটি বড় গ্রহ তৈরির ছবি শেয়ার করেছে।

নাসা যে ছবি শেয়ার করেছে, তাতে যা দেখা যাচ্ছে

নাসা সম্প্রতি একটি এক্সপ্ল্যানেটের ছবি শেয়ার করেছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওই এক্সপ্ল্যানেট তৈরি হচ্ছে সৌরজগতের বাইরে। পিডিএস ৭০বি নামে ওই এক্সপ্ল্যানেট গড়ে উঠছে অন্য এক নক্ষত্র জগতের মধ্যে। আমেরিকার স্পেস এজেন্সি নাসা যে ছবি শেয়ার করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে একটি লাল ও তপ্ত গ্রহ থেকে ইলেকট্রিক স্পার্ক নির্গত হচ্ছে। তার চারপাশে নীল রঙের রিং।

সূর্য থেকে যেভাবে গ্রহ তৈরি হয়েছিল, তেমনই

এই গ্রহের ছবি দেখে মনে হচ্ছে লাল তপ্ত গ্রহ নিজের সুরক্ষায় নীল বলয় তৈরি করে রেখেছে চারধারে। নাসা জানিয়েছে, সূর্য থেকে ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে যেভাবে গ্রহ তৈরি হয়েছিল, এটা ঠিক সেইরকমই। কীভাবে বিভিন্নরকম জিনিস দিয়ে একটি গ্রহ তৈরি হয়, তা দেখাচ্ছে পিডিএস ৭০বি।

১৬০ কোটি বছরের প্রাচীনতম জল আবিষ্কার, অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজে গবেষকরা

নাসা গবেষণা ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ এক দিক খুলে দিতে চলেছে

নাসা জানিয়েছে, পিডিএস ৭০বি এক্সপ্ল্যানেট পৃথিবী থেকে ৩৭০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এখন পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি এক্সপ্ল্যানেটের তথ্য এসেছে। তার মধ্যে ১৫টি শুধুমাত্র টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখা যায়। গ্রহগুলি এত দূরে এবং ছোট যে ছবিতে ডটের মতো দেখা যায়। কিন্তু এবার নাসা গবেষণা ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ এক দিক খুলে দিতে চলেছে।

নাসার প্ল্যানেটরি সিস্টেম দেখাল কীভাবে গ্রহ তৈরি হয়

নাসা একেবারে নতুন কৌশলে এই গবেষণা চালিয়েছে। অক্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রেন্ডন বোলার জানিয়েছেন, এই প্ল্যানেটরি সিস্টেম প্রথমবার মানুষকে কীভাবে গ্রহ তৈরি হয়, তা দেখার সুয়োগ করে দিল। নাসার এই গবেষণা মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন দিশা দেখিয়েছে।

ছবি সৌজন্য:নাসা