পৃথিবীর সবথেকে সভ্য জাতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে ব্রিটিশরা। কিন্তু ২০ শতক পর্যন্ত ব্রিটেনে এমন এক লজ্জাজনক প্রথা প্রচলিত ছিল যা জানতে পারলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে যে তারা আদৌ সভ্য ছিল কিনা।
এই কুখ্যাত সামাজিক প্রথা হল নিজের স্ত্রীকে বিক্রি করার প্রথা। প্রায় ২০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বিবাহিত ব্যক্তিরা তাদের নারী সঙ্গীদেরকে বাজারে চরা দামে বিক্রি করত।
আগেকার সময়ের পশ্চিমা বিশ্বের সমাজব্যবস্থা বর্তমানের মত এতটা খোলামেলা ছিলো না। এই কট্টরপন্থী প্রথার মধ্যে ছিল সেখানকার বিয়ে নিয়ে এক প্রথা।
১৯ শতক পর্যন্ত কোন ব্রিটিশ নাগরিক এখনকার মতো নিজের ইচ্ছে হলেই বা সেরকম ,কোনো পরিস্থিতি আসলেই ডিভোর্স দিতে পারত না। কারণ তখন সমাজে সেই আইন ছিল না।
খুব খারাপ ব্যক্তিগত পরিস্থিতি তৈরি হলে হয়তো কোর্টে বিবাহবিচ্ছেদ করা যেত। তবে এই উপায়ে ডিভোর্স নেওয়ার জন্য একজন স্ত্রীকে তার স্বামীকে অক্ষম প্রমাণ করতে হত আদালতের সামনে।
তখন একমাত্র কোর্টের প্রতিনিধিদের মনে হলেই ডিভোর্স মঞ্জুর করা হতো। এই পন্থা বেশ লজ্জাজনক হওয়ায় অনেকেই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য অন্য রাস্তার কথা ভাবতে থাকে।
আরো পোস্ট- অতিরিক্ত হাসিই কাল হলো এদের!
১৩০২ সালে কম উন্নত পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে বিচ্ছেদের জন্যে স্ত্রীকে বিক্রি করার প্রথা শুরু করা হলো। বাজারে প্রতিটি স্বামী তার স্ত্রীয়ের গুণাবলী চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতো।
এরপর কেউ রাজি হলে নিলামের মাধ্যমে স্ত্রীকে বিক্রি করে দেওয়া হতো। ১৭৫৩ সালে এই রীতির বিরুদ্ধে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন করাকে বাধ্যতামূলক করতে আইন পাশ করানো হলো।
শুধুমাত্র বিচ্ছেদ নয় বরং টাকার জন্যও অনেকেই স্ত্রীকে বেচে দিতেন। গলায় লোহার শিকল পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো বাজারে।
অবশেষে স্ত্রী বিক্রির মত ঘৃণ্য প্রথা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ১৮৫৭ সালের ম্যাট্রিমোনিয়াল আইনে ব্রিটেনে ডিভোর্স বা বিবাহবিচ্ছেদের আইন যুক্ত হয়। এই আইন পাশের পরে আর স্ত্রী বিক্রির কোনো ঘটনার কথা জানা যায়নি আর।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.