উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
শনিবার দুপুরে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে, বিশেষ করে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এরপর ৩ থেকে ৫ মে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা লরয়েছে। ২ মে থেকে দিনের তাপমাত্রা কমবে। আর তা স্বাভাবিকের থেকে নিচে নেমে যেতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলারই কোথাও না কোথাও ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ৩ থেকে ৫ মে অর্থাৎ সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২ মে থেকে দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এরপর তা স্বাভাবিকের থেকে কম থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
আসানসোল ২১.৪
বালুরঘাট ২৩.৬
বাঁকুড়া ২১.৮
ব্যারাকপুর ২৪.২
বহরমপুর ২৬.২
বর্ধমান ২৫.৪
ক্যানিং ২৫.৪
কোচবিহার ২২.৪
দার্জিলিং ১১.৯
দিঘা ২২.৬
কলকাতা ২৫.৫
মালদহ ২৫
পানাগড় ২০.৯
পুরুলিয়া ১৯
শিলিগুড়ি ২০.৮
শ্রীনিকেতন ২১.৬
সতর্কবার্তা
মধ্যপ্রদেশের ওপরে থাকা ঘূর্ণাবর্ত এবং এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের ওপরে থাকা ঘূর্ণাবর্তের কারণে এবং বঙ্গোপসাগর থেকে ব্যাপক হাতে জলীয়বাষ্প আসার কারণে দুই-ছয় মেয়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ যেন পাকা ছাদ ওয়ালা বাড়ির নিচে আশ্রয় নেন। এছাড়াও বজ্রবিদ্যুতের সময় কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন। এছাড়াও কোনও গাছের তলায় কেউ যেন আশ্রয় না নেন। কৃষকরা যেন বজ্রবিদ্যুতের সময়ে ফাঁকা মাঠে কাজ না করেন। তবে মৎস্যজীবীদের জন্য কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।