কলকাতা : রাজ্যে নির্বাচনী বিজয় মিছিল (Victory Procession) করা যাবে না। এই নির্দেষ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। করোনা সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ভোট গণনা ও তৎপরবর্তী যে সিদ্ধান্ত সেটা যাতে কঠোরভাবে কার্যকর হয় সেই বিষয়েই আদালত নির্দেশ দিয়েছে।
করোনা আবহেই এবার রাজ্যে ৮ দফায় নির্বাচন (Assembly Election 2021) হয়ে গেল। কেউ কেউ বলছেন নির্বাচনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে করোনা বাড়লে মহারাষ্ট্রে কেন করোনা এই ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গেলো? মহারাষ্ট্রে তো নির্বাচন হয়নি। আবার কেউ কেউ শেষ তিন দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন সেই দাবি মেনে নেয়নি। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর গণনা পর্ব থেকে নির্বাচন কমিশন যে কঠোর বিধি জারি করল সেটা কেন নির্বাচনী প্রচারের সময় কোটরে হলো না সেই প্রশ্ন চিকিৎসকটরা তুলছেন।
তবে দেরিতে হলেও নির্বাচন কমিশন গণনা পরবর্তী বিজয় মিছিলে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেটাও বহু মানুষকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাবে। কেননা বিজয় মিছিল শুধু গণনা কেন্দ্রের সংলগ্ন এলাকায় হয় সেটা নয়। জয়ী প্রার্থী তাঁর এলাকায়, পার্টি অফিসার কাছাকাছি এলাকায়, পাড়ায় বিজয় মিছিল করেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে এই জাতীয় বিজয় মিছিলও করা যাবে না। এই আইন কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশন ও আদালতের সিদ্ধান্ত রাজ্যের করোনা সংক্রমণকে যে কমাতে সাহায্য করবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিকে রাজ্য সরকারও নির্বাচন কমিশনের গণনা পরবর্তী বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে সমর্থন করে ঘোষণাটিকে আরও শাক্তশালী করেছে।
আমরা আশা করবো, বিজয়ী প্রার্থী ও বিজয়ী দল মানুষের স্বার্থে কোনও রকম বিজয় মিছিল না করে দল বেঁধে করোনা আক্রান্ত মানুষদের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করবেন। রাজ্যে আরও হাসপাতালের ব্যবস্থা করবেন, বিপন্ন মানুষের [পাশে প্রাণবায়ু অক্সিজেন নিয়ে দাঁড়াবেন, এটাই চাইছেন সমাজের সব স্তরের মানুষ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.