স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে বাংলার করোনা পরিস্থিতি৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ গেল রাজ্যের ৯৬ জনের। যা এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের ১৭,৪১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৩২ জনই উত্তর ২৪ পরগনার। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯২৪ জন। রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,২৮, ৩৬৬। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, যে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে শুধু কলকাতারই রয়েছে ২৮জন৷ উঃ ২৪ পরগনার ২০, দঃ ২৪ পরগনার ৭, হুগলির ১৪ ও দার্জিলিঙের ৭জন৷ মৃত্যুর এই সংখ্যা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে৷
আরও পড়ুন: প্রথমে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও চেয়ার ছাড়বেন না’, এজেন্টদের বললেন মমতা
গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও ভয়ঙ্কর থেকে ভয়াবহ হয়ে উঠছে মারণ করোনা ভাইরাস। পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই রাজ্যে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সমস্ত সিনেমা হল, শপিং মল, বিউটি পার্লার, রেস্তরাঁ, বার, ক্রীড়াঙ্গন, জিম, স্পা এবং সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাজার-হাট শুধুমাত্র খোলা থাকবে সকালে ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেলে ৩টে থেকে ৫ টা। যদিও ওষুধের দোকান এবং মুদির দোকানের মতো জরুরি পরিষেবা এই নির্দেশিকার আওতার বাইরে থাকছে। হোম ডেলিভারি এবং অনলাইন পরিষেবার ক্ষেত্রে ছা়ড় রয়েছে। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশের অন্যথা হলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। অনেকের মতে, ভোট মিটতেই যে ভাবে কড়া পদক্ষেপ করা হল, তাতে ২ মে ফলাফলের পর সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য রাজ্যে নাইট কার্ফুও জারি করা হতে পারে।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে বড় ঘোষণা করেছে শিক্ষা দফতর৷ উচ্চশিক্ষা সংসদের ঘোষণা অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা এই করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে পারবেন হোম সেন্টারে। অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে বাইরের কোনও কেন্দ্রে যেতে হবে না তাদের। এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হতে পারে আগামী ১৫ জুন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.