২৪শে এপ্রিলের পর থেকে কমল টেস্টিংয়ের সংখ্যা
উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুসারে, গত ২৪শে এপ্রিলের পর থেকে রাজ্যে কমেছে নয়া সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে কমেছে টেস্টিংয়ের সংখ্যাও। ২৫শে এপ্রিল যোগীর রাজ্যে প্রায় ২.২৯ লক্ষ টেস্টিং হলেও দু'দিনের মাথায় তা প্রায় ২০% কমে যায়। স্বভাবতই ২৪শে এপ্রিল যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮,০০০, ২৪শে এপ্রিল তা কমে হয় ৩০,০০০।
তুঙ্গে করোনা পজিটিভিটি রেট!
নতুন করে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমলেও টেস্টিংয়ের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে কমেছে। ফলে উত্তরপ্রদেশে করোনা পজিটিভিটি হার যে যথেষ্ট বেশি, তা জানিয়েছেন করোনাবিদরা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার টেস্টিংয়ের সংখ্যা পুনরায় ২.২৫ লক্ষের গন্ডি ছোঁয়ার সাথে সাথেই বেড়েছে নব আক্রান্তের সংখ্যা, বৃহস্পতিবারেই সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে ২৯৮ জনের!
বাজছে মৃত্যু ঘন্টা
গত ২৪ ঘন্টায় উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,১২৬ জন, মারা গেছেন ৩৭ জন। উত্তরপ্রদেশের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব বলছে, কানপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৮৯৬ জন, বারাণসীতে ১,৫৯৮ জন, গৌতম বুদ্ধ নগরে ১,৪৭৮ জন, এলাহাবাদ ৯৮৪ জন, মীরাটে ৯৬৫ ও গাজিয়াবাদে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯৮ জন। স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতিপূর্ণ উত্তরপ্রদেশে বেলাগাম করোনায় আতঙ্ক বাড়ছে জনমানসে।
করোনার থাবায় মৃত সরকারি আধিকারিকরা
উত্তরপ্রদেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের নিরিখে প্রথম স্থানে লখনৌ (৪৬,২৯৯ জন সক্রিয় আক্রান্ত)। কানপুরে সক্রিয় আক্রান্ত ১৮,০১৭ জন, বারাণসীতে ১৫,৮৯৭ জন ও প্রয়াগরাজে ১৪,১৬১ জন। অন্যদিকে করোনার আক্রমণে মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বের। বৃহস্পতিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন আইএএস অফিসার দীপক ত্রিবেদী। মারা গেছেন রেভিনিউ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাদাউনের সহ জেলাশাসক কিশোর গুপ্তা।