নয়াদিল্লি : অবশেষে স্বস্তি। দেশজোড়া ভ্যাকসিনের আকালে আশার আলো। শনিবার ১ মে ভারতে আসছে করোনার তৃতীয় প্রতিষেধক তথা প্রথম বিদেশি ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি। এর আগে গত জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে টিকাকরণের কাজ শুরু হলেও প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছিল। যেগুলি দুটিই এদেশে তৈরি।

শুধু তাই নয়, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দেশে তৈরি হলেও স্পুটনিক-ভি হল প্রথম বিদেশ থেকে আমদানি করা করোনার ভ্যাকসিন। যেটি গত ১২ এপ্রিল ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়া ( DGCI) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে দিল্লি আসার পর এই ভ্যাকসিন সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছতে বেশকিছু দিন সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।

গত মঙ্গলবারই ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাশিয়া। এরপর রাশিয়ার তরফে জানানো হয় ভারতের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় খুব শীঘ্রই তাদের হাতে ভ্যাক্সিন তুলে দেওয়া হবে। এরপরই জানা যায় যে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ নয়, আগামী ১ মে ভারতে আসছে রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি।

এই বিষয়ে রাশিয়ান ডায়রেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভ বলেন, “আগামী ১ মে ভারতে স্পুটনিক ভি–এর প্রথম ডোজ এসে পৌঁছোবে। আশা করা যায়, এই ভ্যাকসিন এসে পৌঁছোলে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা হলেও আটকানো সম্ভব হবে।”

উল্লেখ্য, ভারতে এই টিকা ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব রেখেছিল হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি। কেন্দ্র সরকারের কাছে স্পুটনিক ভি ব্যবহারের অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই স্পুটনিক ভি-কে ব্যবহার করার ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র।

ভারতে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছিল ডক্টর রেড্ডিস। এজন্য তারা রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)-এর সঙ্গে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গাঁটছড়া বাঁধে।

ডক্টর রেড্ডিস রাশিয়া ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (‌আরডিআইএফ)‌–এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত সহ অন্যান্য দেশে স্পুটনিক ভি-কে নিয়ে এসেছে। রাশিয়া, ভারত ও আমেরিকাতে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। ল্যানসেট জার্নাল অনুসারে রাশিয়ার কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন ৯১.‌৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে।

ভারতে করোনার যে মাস ভ্যাকসিনেশন চলছে তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন।

গোটা বিশ্বের ৫৯টি দেশে স্পুটনিক ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষের ওপর এটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এর কার্যকারিতা ৯১.৬ শতাংশ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে স্পুটনিক ভি সংরক্ষণ করতে গেলে প্রয়োজন ১৮-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এই ভ্যাকসিনের এক ডোজের দাম পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় ৫০০ টাকা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.