নয়াদিল্লি : দেশজুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ। অদৃশ্য এই মারণ ব্যাধির থাবায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই অবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোতভাবে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

করোনা মোকাবিলায় আপৎকালীন তহবিল থেকে অর্থ ব্যবহারের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হল বাহিনীর তিন শাখাকেই। শুক্রবার একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে সশস্ত্র বাহিনীদের।

তিনি আরও জানান, এই অর্থনৈতিক ক্ষমতা বাহিনীকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিভিন্ন রাজ্যে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ, কোভিড হাসপাতাল নির্মাণ, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি সহ প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামের সরবরাহের সহায়তা করবে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সহায়তা করতে বলা হয়েছে।

মাত্র তিন মাসের জন্য অর্থাৎ ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন সশস্ত্র বাহিনীর অফিসাররা। গত সপ্তাহে সশস্ত্র বাহিনীর মেডিকেল অফিসারদেরও এই বিশেষ ক্ষমতা স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

এছাড়াও কমান্ডার এলাকা এবং সাব কমান্ডার এলাকা ভিত্তিক আর্থিক ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কমান্ডার এলাকায় হাসপাতাল, অক্সিজেন প্ল্যান্ট, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সরবরাহের জন্য দেওয়া হবে ৫০ লাখ টাকা এবং সাব কমান্ডার এলাকায় দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকা।

এছাড়াও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সহায়তা করতে বলা হয়েছে। ডিআরডিওর পক্ষে জানানো হয়, তেজসের মতো হাল্কা যুদ্ধবিমানের জন্য অক্সিজেন প্রস্তুত করার প্রযুক্তি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে অক্সিজেন সিলিন্ডারের উৎপাদন বাড়বে। এছাড়াও, লখনউতে ৪৫০, বারাণসীতে ৭৫০ এবং আমেদাবাদে ৯০০ বেডের হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে বলে ডিআরডিও জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতি রাজ্যগুলিকে সহায়তা করার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানের সঙ্গেও কথা বলেন রাজনাথ সিং। বলা হয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সেনাকে। প্রয়োজনে করোনা সংক্রামিতদের চিকিৎসায় এগিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে সেনাকে। বিভিন্ন রাজ্যে সেনার ইউনিট রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় সেগুলিকে কাজে লাগাতে নির্দেশ দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত একদিনে করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৭৬ জন। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এদিনও ৩ হাজারের উপর। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৯৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৪০ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪১৮ জন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লক্ষ ০৮ হাজার ৩৩০। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ লক্ষ ৭০ হাজার ২২৮ জন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.