আমদাবাদ: দুরন্ত ফর্মে থাকা পৃথ্বী শ ও শিখর ধাওয়ান সমৃদ্ধ দিল্লি ক্যাপিটালসের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপের বিরুদ্ধে বড় রান না-তুলতে পারায় নাইটদের হার প্রায় নিশ্চিত ছিল। তেমনটাই হয়েছে৷ দিল্লির কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে ২০২১ আইপিএলে পঞ্চম হারের স্বাদ পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স৷ তবে নাইটদের বড় রান না-তুলতে পারার পিছনে ভুল ব্যাটিং লাইন-আপকে দায়ী করলেন সুনীল গাভাস্কর৷ প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনারের মতে, সুনীল নারিনকে চার অথবা পাঁচ নম্বরে খেলানোর অর্থ বল ও সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়৷
বৃহস্পতিবার মোতেরায় তাদের সপ্তম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে সাত উইকেটে হেরেছে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স৷ প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবছে কেকেআর৷ দিল্লির বিরুদ্ধেও দেড়শো রানের গণ্ডি টপকাতে হিমশিম খেয়েছে নাইট ব্যাটসম্যানরা৷ আন্দ্রে রাসেলের ২৭ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস নাইটদের ১৫৪ রানে পৌঁছে দিয়েছিল৷ কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হয়নি৷ রান তাড়া করে পৃথ্বী’র বিস্ফোরক ৮২ রানের ইনিংসে ১৬.৩ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি।
প্রথম সাতটি ম্যাচের মধ্যে নাইটদের পাঁচটি হারের জন্য কেকেআর ব্যাটিংকে দায়ী করলেন গাভাস্কর৷ ম্যাচের পর স্টার স্পোর্টস চ্যানেলে সানি বলেন, ‘কেকেআর-এর জেতাটা কঠিন৷ দলে কোনও ভালো ব্যাটসম্যান নেই৷ জানি না, ডাগ-আউটে এমন কেউ আছে কিনা! যে বলবে আমাকে ব্যাট করতে পাঠানো হোক৷ নাইটদের ব্যাটিং লাইন-আপের দিকে তাকালে দেখা যাবে, শুভমন গিল ও ইয়ন মর্গ্যান ছাড়া কোনও ক্লাস ব্যাটসম্যান নেই৷ রাসেলকে ৫ বা ৬ নম্বরে ঠিক আছে৷ কিন্তু দীনেশ কার্তিককে উপরের দিকে খেলানো উচিত৷’
একই সঙ্গে গাভাস্কর আরও বলেন, ‘সুনীল নারিনকে চার অথবা পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানোটা সময় ও বল নষ্ট করা৷ এর কোনও যুক্তি রয়েছে বলে আমি মনে করি না৷ যদি ওকে খেলাতেই হয়, তাহলে ওকে শুরুতেই পাঠিয়ে বলা হোক চালিয়ে খেলো৷ কেকেআর-এর সমস্যাটা হল ৩,৪ ও ৫ নম্বরে কোনও ভালো ব্যাটসম্যান নেই, যে পরিস্থিতি অনুযায়ী ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ এটাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে৷’
এদিন প্রথম ব্যাটিং করে নীতিশ রানা ১২ বলে ১৫ রান করে দ্রুত ফিরে গেলেও ফর্ম হাতড়ে বেড়ানো শুভমন গিলের ব্যাট ভরসা জোগায় নাইটদের। দ্বিতীয় উইকেটে গিল-ত্রিপাঠী জুটিতে ৪৪ রান যোগ করার পর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইটরা। একাদশ ওভারে মর্গ্যান এবং নারিনকে শূন্য রানে ফেরান ললিত যাদব। ৩৮ বলে ৪৩ রান করে গিল ডাগ-আউটে ফিরলেও ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে দেড়শোর গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করেন রাসেল৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.