মুম্বইঃ ‘বিগ বস ১৪’ র প্রতিযোগী রাখি সাওয়ান্তকে সম্প্রতি মুম্বইয়ের পাপারাৎজির সামনে বলতে শোনা গিয়েছে বলিউডের ‘মনিকর্নিকা’ কঙ্গনা রানাউত যেন দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটানোর জন্যে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।
সম্প্রতি রাখি মুম্বাইয়ের ফোট জার্নালিস্টদের সামনে এসেছেই বলেছেন এমন কথা। এদিন রাখি তার লাল রঙের গাড়ি থেকে নেমেছেন সাদা টপ এবং শর্টস পরে। পায়ে ছিল সাদা স্যান্ডেল। আর মুখে ছিল দুটো মাস্ক এবং হাতে স্যানিটাইজার।
দূর থেকে রাখি ক্যামেরা ম্যানদের দিকে স্যানিটাইজার স্প্রে করছেন আর সকলকে করোনা থেকে সতর্ক হতে বলছেন। পাপারাৎজির সঙ্গে কথোপকথনের সময় নিজের মুখ থেকে মাস্ক দুটো খুলে রাখলেও, দূরুত্ব বজায় রেখেছিলেন তাদের সঙ্গে।
প্রত্যেককে দুটো করে মাস্ক পরার পরামর্শও দিচ্ছিলেন তিনি। রাখিকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে নিজের খেয়াল রাখুন, নিজের পরিবারের খেয়াল রাখুন। এই দিনেই এক ফটো সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে রাখি দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি কমাতে কঙ্গনা রানাউতকে সাহায্য করতে বলেছেন। সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।
এক ফটো সাংবাদিক রাখিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কাঙ্গানা জি বলেছেন আমাদের দেশের অবস্থা এখন বর্তমানে খুব খারাপ। অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়জায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী ঠিক নাকি ভুল। তো এই বিষয় নিয়ে আপনি কি বলবেন?’
এই প্রশ্নের উত্তরেই রাখি বলেছেন, ‘কঙ্গানার কাছে এত কোটি কোটি টাকা আছে। কঙ্গানা আপনি কিছু সাহায্য করুণ দেশের মানুষের অক্সিজেনের সংকট কমাতে। আপনি বাঁচান দেশকে। অক্সিজেন কিনুন আর সবার মধ্যে ভাগ করে দিন’। বরাবরের মতই রাখির এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কিছুদিন আগে রাখি পিপিই কিট পরে সবজির বাজার করতে বেরিয়ে ছিলেন। সেই দৃশ্যও বেশ চর্চিত হয়েছিল সোশ্যাল সাইটে। এই দৃশ্য কারুর কাছে বিদ্রূপের আবার কারুর কাছে প্রশংসার।
‘বিগ বস ১৪’ থেকে ফিরে রাখি তার মায়ের টিউমারের অপারেশন করিয়েছেন। অপারেশনের জন্যে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন সালমন খান এবং ভাই সোহেল খান।
সেই সাহায্যের জন্যে সালমানের পুরো পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনাও সংবাদের শিরোনাম সৃষ্টি করেছিল। ত
বে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিনোদন কুইন রাখি নিজে সতর্ক এবং সকলকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শই দিয়ে যাচ্ছেন বারবার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.