কলকাতা : ভোটের ফল আসার আগেই মানুষের জন্য কাজ করতে উদ্যত হলেন অভিনেত্রী এবং বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। অনেকেই ভেবেছিলেন তারকা প্রার্থীরা ভোটের পরেই নিজেদের হাওয়া বদল করে সাধারণ মানুষের থেকে দূরে সরে যাবেন। এ ধারণাকে সম্পূর্ণ মিথ্যে প্রমাণ করলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী।
মানুষের সেবায় শ্রাবন্তী দুটি কোভিড হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন । যা নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি পোস্ট করেছেন। এমনকি অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন এমার্জেন্সিতে যোগোযোগ করা যাবে শ্রাবন্তী ও তাঁর দলের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে। অভিনেত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।
View this post on Instagram
বেহালার এই বিজেপি প্রার্থী নিজের জয় নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত ও আত্মবিশ্বাসী। অভিনেত্রী বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বলেছিলেন, তাঁর বাবা আর্মিতে আছেন। সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখে অনেকটাই অনুপ্রাণিত। অভিনয়ের পাশাপাশি একজন সুযোগ্য নেত্রী হিসেবে তিনি বেহালার মানুষের জন্য কাজ করতে চান। তার মধ্যে তিনি বেহালার মেয়ে। এমনকি তিনি এও বলেছেন যদি তিনি জিতে গিয়েও মানুষের জন্য কাজ না করতে পারেন তবে তো হেরেই যাবেন। তাই একবার সুযোগ দিয়ে দেখতে অসুবিধা কোথায়। ভোটের আগে তিনি নির্বাচনী প্রচারের জন্য রীতিমতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে টক্কর দিয়েছেন তৃণমূল শিবিরের চার বারের জয়ী প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
বেহালার মানুষদের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাঁদের দরজায় দরজায় গিয়ে ভোট প্রচার করেছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়েও নানা কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে তিনি তাঁর লক্ষ্যে অনড় ছিলেন। গ্রীষ্মের চড়া রোদের প্রখরতা উপেক্ষা করেই তিনি ছালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর নির্বাচনী প্রচার। তাই অনেকেরই আশা এবং আলোচনার মধ্যমণি হয়েছিলেন তিনি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে তাঁর এই উদ্যোগ প্রশংসা যোগ্য।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.