করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ভারতে যে প্রতিনিয়ত যে ছবি উঠে আসছে তা যেন নরকের সমান। কোথাও অক্সিজেনের জন্য চলছে হাহাকার, আবার কোথাও মৃতদেহ নিয়ে আত্মীয়কে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
দেশ জুড়ে যখন এই ছবি, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লিতে চলছে দফায় দফায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই পর পর ২১ টি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বছর ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবার এক মাসে এতগুলি বৈঠক করলেন তিনি।
গত বছরের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন।
অথচ সেই মাসেও করোনা সংক্রান্ত ১৪টি বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এবার সেই সংখ্যাটা পার করে গিয়েছে। আর তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভারতের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে।
গত প্রায় এক সপ্তাহ প্রত্যেকদিন গড়ে অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ করে নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।
শুধুমাত্র কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গেই নয়, করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নেতাদেরও কথা হয়েছে এর মধ্যে।
একদিকে যেমন তিনি বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে, অন্যদিকে ফোনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও।
২০২০- র মার্চ মাস থেকে ২০২১-এর এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোট ৬৫ টি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব বৈঠকের বাইরের বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক রাজনৈতিক নেতা অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
গত বছরের শেষের দিকে যখন করোনা পরিস্থিতি একটু হলেও উন্নতি হতে শুরু করে তখন প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রান্ত বৈঠকে সংসদ অপেক্ষাকৃত কমে যায়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা সংক্রান্ত মাত্র একটি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে একাধিক রাজ্যের নির্বাচনে পরপর জনসভাও করেছেন তিনি।