দুবাই: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অংশগ্রহণ করতে চলা ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি দেখে শিউরে উঠছে গোটা বিশ্ব। আয়োজক যুক্তরাজ্য মারণ ভাইরাস থেকে পুরোপুরি মুক্তি পায়নি। এমতাবস্থায় আগামী জুনে সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দর্শক প্রবেশে রাশ টানার বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত ছিলোই। তবে পুরোপুরি রাশ না টেনে দর্শক প্রবেশে আংশিক রাশ টানছে আইসিসি। এমনকি যুক্তরাজ্যের বাইরে কোনও ক্রিকেট অনুরাগী এই ম্যাচ হ্যাম্পশায়ার বোলে বসে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন না।

তাহলে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা কীসের ভিত্তিতে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি পাবেন? আইসিসি জানিয়েছে ম্যাচ দেখার জন্য যে সকল আবেদনকারী আবেদন করবেন, তাদের ব্যালট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে। ব্যালট প্রক্রিয়ায় ভাগ্যবানরা জিতবেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টিকিট। আইসিসি প্রস্তাবিত ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই ফাইনাল দেখার জন্য অনলাইন আবেদন শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল থেকে চালু হওয়া সেই ব্যালট খোলা থাকবে ১০ মে অবধি। এই সময়কালের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন আবেদনকারীরা।

তাদের মধ্যে থেকে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে ভাগ্যবানদের। যারা আবেদন করছেন বা করবেন তাদের জন্য বেশ কিছু বিষয় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ১) আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। ২) আবেদনকারীকে অবশ্যই যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে। ৩) টিকিট কেনার জন্য নিজের নামে পারচেস কার্ড রেজিস্টার্ড থাকাটা বাধ্যতামূলক। ভাগ্যবান বিজেতাদের কাছে আয়োজকদের তরফ থেকে নির্দিষ্ট সময় নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে এবং দাম দিয়ে টিকিট সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাম দিয়ে টিকিট সংগ্রহ না করলে তা বাজেয়াপ্ত হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৮-২২ জুন সাউদাম্পটনের হ্যাম্পশায়ার বোলে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সংস্করণের ফাইনাল। কোভিডের জেরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচিও ধাক্কা খেয়েছে ব্যাপকভাবে। তবুও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিয়মে খানিকটা রদবদল করে সংগৃহীত পয়েন্টের নিরিখে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড এবং বিরাট কোহলির ভারত। আইপিএল শেষ হলেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে একত্রে যুক্তরাজ্য উড়ে যাওয়ার কথা কোহলি-উইলিয়ামসনের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.