কলকাতা : রাজ্যে আংশিক লকডাউন (Partial Lockdown)। শুক্রবার বিকেলে রাজ্য সরকারের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর ফলে রাজ্যজুড়ে সন্ধ্যার পর থেকেই পুলিশ মাইকিং শুরু করে সরকারি নির্দেশিকা (Government Order) জানিয়ে দেওয়া শুরু করেছে। সন্ধ্যা নামতেই শপিং মল, রেস্তোরাঁ , বার থেকে মানুষদের বার করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ (Police)। কলকাতার সবকটি শপিং মলে (Shopping Mall) সন্ধ্যা নামতেই হুলুস্থুলু পরে যায়। যারা শপিং মল, রেস্তোরাঁ , বার-এ ছিলেন তারা অনেকেই হঠাৎ করে সরকারের এই নির্দেশিকা জানতে মনে পেরে সমস্যায় পড়েন। কলকাতার গড়িয়াহাট (Gariahat Market), বাঁশদ্রোণী, যাদবপুর, লেক মার্কেট (Lake Market), গাড়িয়া, মানিকতলা প্রভৃতি বাজারে সন্ধ্যা থেকেই পুলিশ মাইক নিয়ে জানাতে থাকে সকাল ৭টা থেকে টা ও দুপুর ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকবে। বন্ধ থাকবে হোটেল (Hotel),জিম (Gym), রেস্তোরাঁ , বিউটি পার্লার।
এদিকে কলকাতায় সরকারি ঘোষণা সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হলেও জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশের মাইকিং সর্বত্র হয়নি। উরত্তরবঙ্গ (North Bengal), মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) থেকে খবর পাওয়া গেছে শুক্রবার থেকে এই সব জেলায় সরকারি নির্দেশ মেনে সরকার নির্দেশিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়নি।
তবে কলকাতার বিভিন্ন শপিং মলে যারা ছিলেন, তাঁরা সন্ধ্যায় সরকারি নির্দেশিকা জানতে পেরেই বেরিয়ে আসেন। রেস্তোরাঁ, শপিং মল থেকে বার হয়ে মানুষ বলেছেন, আমরা চাই দৃঢ় ভাবে রাজ্যে লকডাউন চালু হোক। এটা আরও আগে হলে ভালো হতো। মানুষ বিপন্ন। এর মধ্যে নির্বাচন করে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে যাত্রা বাজারে সবজি বিক্রি করেন তাদের বক্তব্য, “সকালে সাতটা থেকে দশটা আর বিকেলে তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বাজার খোলার সময় না করে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বাজার খোলা রাখলরে ভালো হতো। তাহলে আমাদের ১০টার সময় একবার বাড়ি গিয়ে আবার তিনটের সময় বাজারে আসতে হতো না।”
হোটেল বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে মাথায় হাত পড়েছে হোটেল ব্যবসায়ীদের। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে,, দীর্ঘ লকডাউনের পর এখনও আমরা আমাদের ব্যবসা গুছিয়ে উঠতে পারিনি। এর মধ্যে আবার হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার ফলে আমাদের কী অবস্থা হবে ভেবে পাচ্ছি না। বিভিন্ন হোটেলে যারা কাজ করেন তাদের সংসারের বা কী হবে সেটা ভেবে সব গোলমাল হয়ে যাচ্ছে।”
তবে প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে আগামী দিনে আরও কঠোরভাবে লকডাউন জারি হতে পারে। যারা এই নির্দেশ মানবে না তাদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.