আমদাবাদ: আবারও জ্বলে উঠল অধিনায়কের ব্যাট। আর কেএল রাহুলের অধিনায়কোচিত ইনিংসে ভর করেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিল পঞ্জাব কিংস। রাহুলকে সঙ্গ দিলেন ক্রিস গেইল। মূলত এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটেই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে কোহলিদের ১৮০ রানে টার্গেট বেঁধে দিল প্রীতি জিন্টার দল। রাহুল খেললেন ৫৭ বলে ৯১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।

ওয়াশিংটন সুন্দরের বদলে শাহবাজ আহমেদকে দলে এনে এদিন টস জিতে পঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠান আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চোটের কারণে ময়াঙ্ক না থাকায় ওপেনিং’য়ে এদিন রাহুলের সঙ্গী হন প্রভশিমরন সিং। এছাড়া মোইসেস হেনরিকস এবং অর্শদীপের পরিবর্তে দলে আসেন রিলে মেরেডিথ এবং হরপ্রীত ব্রার। ওপেনিং’য়ে রাহুলের নয়া সঙ্গী সফল হননি। মাত্র ৭ রান করেই ফেরেন প্রভশিমরণ।

দ্বিতীয় উইকেটে রাহুল এবং গেইলের ৮০ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপ বড় রানের লক্ষ্যে নিয়ে যায় পঞ্জাবকে। ৬টি চার এবং ২টি ছয়ে ২৪ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং মায়েস্ত্রো। দু’জনেরই সচল ব্যাটিং পঞ্জাবের রানের গতিতে জোয়ার আনে। কিন্তু গেইল আউট হয়ে ফেরেন দলীয় ৯৯ রানের মাথায়। এরপর সেই অর্থে মিডল-অর্ডারে কারও সঙ্গ পাননি রাহুল।

একাই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক। ১১৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট খুঁইয়ে বসে পঞ্জাব। চলতি টুর্নামেন্টে চতুর্থবার শূন্য রানে ফিরলেন পুরান। রানের খাতা খুলতে পারলেন না শাহরুখও। গেইল আউট হওয়ার পর কার্যত একা কুম্ভে লড়ে গেলেন রাহুল। হুডা ফেরেন ৭ রানে। শেষদিকে পরিবর্ত হরপ্রীতের ব্যাট কিছুটা সাহায্য করে পঞ্জাবকে। ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন হরপ্রীত।

আর বিস্ফোরক রাহুল শুরু থেকে শেষ অবধি ইনিংসের ব্যাটন নিজের হাতেই রাখেন। মারকাটারি ইনিংস খেলে ৫৭ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন পঞ্জাব অধিনায়ক। চলতি টুর্নামেন্টে এটি তাঁর চতুর্থ অর্ধশতরান। রাহুলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার এবং ৫টি ছয়। শেষ অবধি রাহুল-হরপ্রীতের অবিভক্ত ৬১ রানের জুটিতে ভর করে ২০ ওভারে ১৭৯ রান তোলে পঞ্জাব।

আরসিবির হয়ে ২টি উইকেট নেন কাইল জেমিসন। একটি করে উইকেট নেন ড্যানিয়েল স্যামস, যুবেন্দ্র চাহাল এবং শাহবাজ আহমেদ। ৪ ওভারে ৫৩ রানে খরচ করেন হর্ষল প্যাটেল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.