নয়াদিল্লি: বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মে মাসে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে গিয়ে পৌঁছবে। দৈনিক করোনা গ্রাফ সেই কথাই প্রমাণ করছে। সংক্রমণে লাগাম টানা তো যাচ্ছেই না, বরং উত্তরোত্তর বাড়ছে সংক্রমণ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ লক্ষের কাছাকাছি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত একদিনে করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৭৬ জন। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এদিনও ৩ হাজারের উপর। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৯৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৪০ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪১৮ জন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লক্ষ ০৮ হাজার ৩৩০। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ লক্ষ ৭০ হাজার ২২৮ জন। এখনো পর্যন্ত ১৫ কোটি ২২ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৭৯ মানুষকে টিকাকরণ করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে চোখে সর্ষে ফুল দেখছে দেশবাসী। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জারি করা নয়া এই নির্দেশিকা বলা হয়েছে যে, এবার থেকে যে সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগী অথবা শরীরে করোনার অল্প লক্ষণ রয়েছে এমন ব্যক্তিরা বাড়ির ভিতরেও থ্রি লেয়ার যুক্ত মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করবেন। সংক্রমণের দ্রুত বিস্তার রুখতে ঘরের ভিতরেও এই মাস্ক পড়া এবং পরিবারের সকলের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা একান্ত জরুরি। শুধু তাই নয়, কোভিড রোগীদের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নতুন এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যে সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগীরা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তাঁদের জন্য থ্রি লেয়ার যুক্ত মেডিক্যাল মাস্ক আবশ্যক। এছাড়াও যে ঘরে রোগী থাকছেন সেই ঘরে যাতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে সেইদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। এই সময় মাস্ক ব্যবহার ও তা জীবাণুমুক্ত করার দিকেও নজর রাখা উচিত।
এদিকে আবার তৃতীয় দফার করোনার টিকাকরণ শুরু হতে আর মাত্র ২ দিন বাকি। আর শেষ মুহূর্তে দিল্লি সরকার ঘোষণ করল দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা নেই। প্রাইভেট কোম্পানির থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে তারা। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে ভ্যাকসিন নেই। আমরা কোম্পানিকে ভ্যাকসিনের জন্য অনুরোধ করেছি। যখন ভ্যাকসিন আসবে, আমরা আপনাদের জানাব।” দিল্লি সরকারকে কবে নাগাদ ভ্যাকসিন পাঠানো হবে তা নিয়ে এখনও কোম্পানিগুলি নিশ্চয়তা দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.