নয়াদিল্লি: দেশেও ভয়াবহ হচ্ছে করোনার সংক্রমণ। দেশের নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে অক্সিজেনের হাহাকার। বেডের অপ্রতুলতা স্পষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারা একটি মামলাও দায়ের করেছে এই বিষয়ে । সেই মামলার শুনানিতে আজ কেন্দ্রকে টিকাকরণ নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করলো সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছে যে, যারা অশিক্ষিত, যে এলাকায় ইন্টারনেটের সুব্যবস্থা নেই তারা কিভাবে টিকাকরণের জন্যে রেজিস্ট্রেশন করাবে?

কেন্দ্রীয় সরকারকে টেনে নিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচুড় একাধিক কঠোর প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। অক্সিজেন ট্যাঙ্কার ও সিলিন্ডার সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে? নিরক্ষর বা যাদের ইন্টারনেটের অ্যাক্সেস নেই তাদের কীভাবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করাবে? ভ্যাকসিনগুলি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি রাজ্য কি অন্য রাজ্যের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে? কেন্দ্র বলছে উৎপাদনের ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন রাজ্যগুলি পাবে। উৎপাদন সংস্থা কিভাবে সমতা বজায় রাখবে ? ১৮ থেকে ৪৫ এর মধ্যে সঠিক কত জনসংখ্যা আছে তা কি কেন্দ্র জেনেছে ? একাধিক প্রশ্নবানে কেন্দ্রকে আজ বিঁধেছে শীর্ষ আদালত।

বিচারপতি ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়াতে কেন্দ্রকে আরোও বিনিয়োগের কথা বলেছে। যখন বেসরকারী নির্মাতারা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য অর্থ ব্যয় করতে শুরু করেছে তখন কেন্দ্রীয় সরকারের এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে বলে জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে টিকাকরণের উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ মে থেকে গোটা দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের এই প্রশ্ন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। দেশে ৭৪.০৪ শতাংশ শিক্ষিতের হার। তাহলে বাকি ভারতীয় নাগরিক কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবে।প্রশ্ন থেকেই যায়। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী ডিজিট্যাল ভারতের কথা বললেও দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও ইন্টারনেটের সুবিধা নেই। দেশে প্রথম লকডাউনের সময় তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। সেই এলাকার মানুষ কি আদৌ পারবে নাম নথিভুক্তকরণ করতে?

মূলত, সুপ্রিম কোর্ট আজ স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি করেছে যেখানে কোভিড-১৯ মহামারী সম্পর্কিত অক্সিজেন সরবরাহ, ওষুধ সরবরাহ এবং অন্যান্য বিভিন্ন নীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে শুনানি হয়েছে।বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় বলেন, রাজ্যের উচ্চ আদালতগুলিতে এ জাতীয় বিষয় উত্থাপন করতে হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.