মুম্বই: ভারতে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরিয়ে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার৷ এবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইপিএল ছাড়লেন ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার দুই আইসিসি-র এলিট প্যানেল আম্পায়ার নীতিন মেনন ও পল রাইফেল৷
নীতিন মেনন হলেন একমাত্র আইসিসি-র এলিট প্যানেলে থাকা ভারতীয় আম্পায়ার৷ তিনিও ২০২১ আইপিএলে বায়ো-বাবেল ছেড়ে ইন্দোরে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন৷ জানা গিয়েছে মেননের স্ত্রী এবং মা দু’জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে বিসিসিআই৷ বোর্ডের এক আধিকারিক পিটিআই-কে জানিয়েছে, ‘হ্যাঁ, নীতিন বায়ো বাবেল ছাড়ছেন৷ কারুণ তার পরিবারের সদস্যরা কোভিডে আক্রান্ত৷ তাই ম্যাচ পরিচালনা করার মতো মানসিক পরিস্থিতিতে নেই৷
দু’দিন আগেই আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন অজি আম্পায়ার পল রাইফেল৷ কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সরকার ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দেশে ফিরে পারেননি প্রাক্তন এই অজি ফাস্ট বোলার৷ করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ ভারতের সঙ্গে বিমানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে৷ কানাডা, ব্রিটেন ও আমেরিকার পর ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকারও। মঙ্গলবার এক বিবৃতি জারি করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় কাবু বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ ভারত। এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত কোনও ভারতীয় বিমান অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করবে না।
বৃহস্পতিবার আমদাবাদে হোটেল থেকে ‘Herald’ and ‘The Age’ সংবাদপত্রকে রাইফেল জানান, ‘আমি দোহা হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম৷ কিন্তু একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে সেটা পারিনি৷ জানতাম এই ভাবে দু’জন দেশে ফিরেছে৷ কিন্তু অ্যাভিনিউ বন্ধ করে দেওয়ায় আমি থেকে যেতে বাধ্য হয়েছি৷ গতকাল আমি টিকিট কেটেছিলাম৷ কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়৷’ ফলে ৩০ মে টুর্নামেন্ট শেষ না-হওয়া পর্যন্ত থেকে যাবেন রাইফেল৷
এর আগে করোনা আতঙ্কে আইপিএল ছেড়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসে ভারতীয় অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন৷ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কেন রিচার্টসন ও অ্যাডাম জাম্পা৷ রাজস্থান রয়্যালসের লিয়াম লিভিংস্টোন ও অ্যান্ড্রু টাই৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.