নয়াদিল্লি: দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক ৩ লক্ষের বেশি সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা হওয়ার কারণে অভাব দেখা দিয়েছে হাসাপতালে শয্যা থেকে অক্সিজেনের পরিমাণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংকটজনক রোগীর সংখ্যার তালিকায় বর্তমান সময়ে যুক্ত হয়েছে সমস্ত বয়সের মানুষ। মহামারীর পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় মিলছে না হাসপাতাল সহ করোনায় মৃত মানুষের সৎকারের জায়গা। আর এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ট্রুকলার অ্যাপ্লিকেশনটি। মহামারী চলাকালীন সময়ে ট্রুকলার চালু করছে একটি নতুন কোভিড হাসপাতাল ডিরেক্টরি ভারতীয় জনগণের জন্য।

ট্রুকলারের এই নতুন কোভিড হাসপাতাল ডিরেক্টরিতে যুক্ত করা হয়েছে ভারতের একাধিক রাজ্যের কোভিড হাসপাতালের ঠিকানা এবং তাদের সমস্ত টেলিফোন নম্বরগুলি। ভারতীয় সরকারের ডাটাবেস থেকে এই কোভিড হাসপাতালের ঠিকানাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। ট্রুকলার ব্যবহারকারীরা গ্রাহকরা মেনু অথবা ডায়ালারের থেকে ডিরেক্টরিটি অ্যাক্সেস করতে পারবে। এর পাশাপাশি গ্রাহকরা এই ডিরেক্টরি থেকে হাসপাতালের নম্বর এবং ঠিকানা পাবে, যা থেকে কল করার সঙ্গে দেখা মিলবে হাসপাতালের শয্যার উপলভ্যতার বিষয়টি।

ট্রুকলারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে প্রায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দৈনিক ৩.৫ লক্ষ। দেশের সাধারণ মানুষ এই মহামারী পরিস্থিতিতে আশেপাশে হাসপাতালগুলি খোঁজ করে চলেছে কোভিড চিকিৎসার জন্য। আর সেই কারণে প্রতিটা মানুষকে সাহায্যের জন্য চালু করা হয়েছে নতুন কোভিড হাসপাতাল ডিরেক্টরি পরিষেবা। বর্তমান সময়ে অ্যান্ড্রয়েড বেটাতে এই পরিষেবা চালু করা হলেও আগামী দিনে সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধা মিলবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে আইওএস-এ এই পরিষেবা কবে থেকে মিলবে তা এখনো কর্তৃপক্ষ তরফে প্রকাশ করা হয়নি।

ট্রুকলারের চালু করা নতুন কোভিড হাসপাতাল ডিরেক্টরি ডায়ালারের ওপরে বামদিকে দেখা মিলবে, যেখানে ক্লিক করলে বর্ণানুক্রমিক অক্ষর অনুসারে বিভিন্ন শহরের হাসপাতালের নাম প্রদর্শিত হবে। এই তালিকা থেকে নিজের শহরের নাম চিহ্নিত করলে সেই জায়গার সমস্ত কোভিড হাসপাতালের ঠিকানা এবং টেলিফোন নম্বর উল্লেখ করা থাকবে। এই নম্বরে ফোন করলে ব্যবহারকারীরা তাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.