সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : একদিকে দেশনায়ক , অপরদিকে জাতির জনক। লড়াই হল চরমে। হেরে গিয়েছিলেন মহাত্মা। জিতেছিলেন সুভাষ। কিন্তু জিতেও দলের মধ্যে একের পর এক বিরোধিতায় কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছিল সুভাষের জন্য। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হন দল ছাড়তে ২৯ এপ্রিল। গঠন করেন অন্য দল।

সকলেরই এটা জানা যে, একটা সময়ের পর গান্ধীজির অহিংস আন্দোলনকে আর মন থেকে মেনে নিতে পারছিলেন না সুভাষ। এদিকে কংগ্রেস ছেড়ে কীভাবে কাজ করা যায় সেই ভাবনাও তখন নেই। কংগ্রেসে সুভাষের বিরোধিতা যেমন ছিল , তাঁর পক্ষেও সমর্থন বিপুল পরিমাণেই ছিল। হরিপুরা কংগ্রেস তার প্রথম প্রমাণ।

১৯৩৮ সাল, গান্ধীর বিরোধিতা ছিল। তবু হরিপুরায় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হন সুভাষই। ১৯৩৯ সাল, উপর্যুপরি হার গান্ধীজির। ত্রিপুরি সেশনে কংগ্রেসের সভাপতি হতে ভোটে দাঁড়ান সুভাষ। বিপক্ষে দাঁড়ান গান্ধীজির সমর্থিত প্রার্থী পট্টভি সিতারামাইয়া। বিপুল চাপ। ফল বেরোল। এবারও জয়ী সেই সুভাষ। সীতারামাইয়া পেয়েছিলেন ১,৩৭৭টি ভোট৷ সুভাষ পেয়েছিলেন ১,৫৮০টি ভোট। জয় ২০৩ ভোটে। সুভাষের জয়ের পর হার নিজের মুখে স্বীকার করেছিলেন গান্ধীজি। তিনি বলেছিলেন, ‘সুভাষের জয়ে আমি খুশি৷ মৌলনা আজাদের মতো ড. পট্টভি যাতে তাঁর নাম প্রত্যাহার না করেন তার জন্য আমার বড় ভূমিকা ছিল৷ তাই এটি তাঁর চেয়ে বেশি আমার পরাজয়৷’

নির্বাচন জিতলেও গান্ধী অনুগামীদের বাধা। একের পর এক সমস্যা, ক্রমাগত বিরোধীতার মুখে পড়তে হয় সুভাষকে। কাজ করতে পারলেন না সুভাষ৷ পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়ে যায়। শেষে ২৯.এপ্রিল দলের সভাপতি পদ সঙ্গে দল ছাড়তে বাধ্য হন সুভাষ। ৩ মে গঠন করেন নতুন দল ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’। সুভাষের জায়গায় কংগ্রেসে সভাপতির দায়িত্ব নেন ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ৷ যিনি পরবর্তী সময়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি হন৷

ব্রিটিশ সরকার ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ দলকে বেআইনি ঘোষণা করে। সেটা ১৯৪২ সাল। সমগ্র ভারতজুড়ে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ দলের সব পার্টি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৪৩ সালে নেতাজি জাপানে যান।

সেখানে রাসবিহারী বসু তৈরি করে ফেলেছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। ১৯৪৩ সালের ৪-৭ জুলাই সিঙ্গাপুরে ইন্ডিয়ান ফ্রিডম লিগের সভায় রাসবিহারী বসু ওই লিগের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সুভাষ বসুকে স্থলাভিষিক্ত করার জন্য নিজের ইচ্ছের কথা ব্যক্ত করেন। সভার সব নেতৃবৃন্দ সুভাষকে স্বাগত জানান।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.