ওয়াশিংটন: পৃথিবী থেকে যখন প্রথম তিনজন মানুষ চাঁদে গিয়েছিলেন। নীল আমস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। তাঁদের মধ্যে নীল আমস্ট্রং বহুদিন আগেই বরাবরের মতো মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন। এবার তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন মাইকেল কলিন্স। বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বর্তমানে সেই চন্দ্রাভিযানের একমাত্র একজন সদস্যই বেঁচে রয়েছেন। তিনি এডুইন অলড্রিন।
মাইকেল কলিন্সের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। অবশেষে বুধবার সেই লড়াই সমাপ্ত হল। কলিন্সের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “মাইক জীবনে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন। দয়া ও নম্রতায় ভরপুর ছিলেন তিনি। তাঁর শেষ চ্যালেঞ্জও ছিল সেটাই।” তাঁর মৃত্যুতে বৈজ্ঞানিকমহলেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব।
আজ থেকে ৫২ বছর আগে চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষের পা পড়েছিল। অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানে চড়ে তিন নভোচর চাঁদের পাড়ি দিয়েছিলেন। তাঁরা হলেন নীল আমস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। যদিওমাইকেল কলিন্স চাঁদের মাটিতে নামেননি। তাঁর উপর মহাকাশযানের দায়িত্ব ছিল। চাঁদের কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন মহাকাশ যানের কম্যান্ড মডিউল পাইলট। অভিযানের সময় পৃথিবীতে নাসার বেসের সঙ্গে যানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন কলিন্সই সব দায়িত্ব সামলান। ২ বারের চেষ্টায় নাসায় মহাকাশ যান ওড়ানোর সুযোগ পান তিনি। মার্কিন বিমান বাহিনীর তিনি ছিলেন দক্ষ পাইলট। তবে চন্দ্রাভিযানের গর্ব তাঁকে অহংকারী করেনি কখনই। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তাঁর বিনয়ী ব্যবহার মানুষকে মুগ্ধ করেছে। চন্দ্রাভিানের সাফল্যের ক্ষেত্রে ভাগ্যের সহায় ছিল বলে মনে করতেন তিনি। বলতেন অভিযানে ১০ শতাংশ যদি পরিকল্পনা হয়ে থাকে বাকি ৯০ শতাংশই ছিল ভাগ্যের হাতে।
২০১৯ সালে একটি সাক্ষাৎকারে মাইকেল কলিন্স বলেছিলেন, “যখন আমরা চাঁদের চারদিকে ঘুরছিলাম আর দেখছিলাম, সে যে কী অসাধারণ অভিজ্ঞতা! এই দৃশ্য ছিল দুর্দান্ত, চিত্তাকর্ষক। আমার যতটা মনে আছে সেগুলো তো তার কাছে কিছুই নয়।” মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বর্ণনা করার সময় তিনি বলেছিলেন। নীল, সাদা, উজ্জ্বল লাগছিল পৃথিবীকে। নীল মহাসাগর, সাদা মেঘ.. কী অসাধারণ দেখাচ্ছিল পৃথিবীকে, তা উঠে এসেছিল তাঁর কথায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.