কলকাতা: আরও তীব্র হচ্ছে করোনার দাপট। দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজ্যের সংক্রমণ। অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভাঙলো রাজ্যের দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা। সুস্থতার হার রোজই কমছে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পার করেছে এক লক্ষের গন্ডি। যা রীতিমতন ভয় বাড়াচ্ছে সাধারণের।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৪০৩ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৮ লক্ষ ১০ হাজার ৯৫৫ জন।এদিকে আক্রান্তের নিরিখে কলকাতাকে পেছনে ফেলে দিল উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯১২। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯০১ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৯৯০। হাওড়া ও হুগলিতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত যথাক্রমে ৯২৭ ও ৯৩০ জন। নদিয়া, বীরভূমে ও পশ্চিম বর্ধমানেও বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে এই তিন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৭৪৯, ৭৪৬ ও ৮৯৩ জন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ৮৯ জন।যার মধ্যে কলকাতাতেই মারা গিয়েছেন ২৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ২১ জন।দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১১ জন। ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১১ হাজার ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ ।বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ১ লক্ষ ১০ হাজার ২৪১।গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ৮৮৫ জন। এ নিয়ে মোট ৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৬৬ জন করোনাজয়ী। সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৮৫.০২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ হাজার ৭২৪ জনের।রাজ্যের টিকাকরণ ব্যবস্থায় গতি বাড়াতে কেন্দ্রের কাছে ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছে প্রশাসন। এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে টাকা দিয়ে রাজ্যের জন্য করোনা ভ্যাকসিন কিনে নিতে চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্য এই ভ্যাকসিন রাজ্যের মানুষকে বিনা পয়সায় দেবে। কিন্তু কেন্দ্রের কাছ থেকে সেই ভ্যাকসিন রাজ্য পায়নি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.