শেষ দফার আগে ধাক্কা তৃণমূলে, সভাপতিকে চিঠি দিয়ে দল ছাড়লেন মমতার সঙ্গে দাদার সম্পর্ক রাখা প্রাক্তন মন্ত্রী

বৃহস্পতিবার রাজ্যে অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে বুধবার তৃণমূলে (trinamool congress) ধাক্কা। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে(subrata bakshi) চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী (ex minister) তথা প্রাক্তন আইপিএস (ex ips) উপেন বিশ্বাস(upen biswas) ।

মমতার সঙ্গে দাদা-বোনের সম্পর্ক

প্রাক্তন আইপিএস-কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপেনদা বলে সম্বোধন করেন। অন্যদিকে উপেন বিশ্বাসও জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা-বোনের সম্পর্ক। ২০০২ সালে সিবিআই-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন উপেন বিশ্বাস। তিনি আরও সবার কাছে পরিচিত, কেননা বিহারের ৯৫০ কোটি টাকার পশু খাদ্য মামলায় তিনিই লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। এহেন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিককে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গিয়েছিল।

বুধবার সকালে দলের সভাপতিকে চিঠি

এদিন সকালে উপেন বিশ্বাস তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সিকে চিঠি দিয়ে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এছাড়াও তিনি তৃণমূলের সিবিআই পরামর্শদাতা, কোর কমিটি এবং অন্য বাকি সদ সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, উপেন বিশ্বাস নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি অষ্টমদফার নির্বাচনের আগেই যে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান তাও জানিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন আগে তাঁর সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের করা মন্তব্যের জেরে উপেন বিশ্বাস ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

২০১১ সালে অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী

রাজ্যে পরিবর্তনের বছর ২০১১ সালে উপেন বিশ্বাস বাগদা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। এরপর তাঁকে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ২০১৬-র নির্বাচনে তিনি হেরে যান। যদিও তার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা প্রাপ্ত এসসি-এসটি ফিনান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করেছিলেন।

সিএএ-র পাশে ছিলেন

২০২০-তে করোনা লকডাউনের সময় দলের থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে, সিএএ সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন। যদিও তৃণমূল সিএএ-র বিরোধী প্রথম থেকেই। নিজের বই ধর্ম অধর্মতে তিনি লিখেছিলেন সারদা কাণ্ড ভারতের অন্য যেকোনও তছরূপকেও হার মানাবে। সারদা কাণ্ড ২০১৩ সালে সামনে আসে। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে প্রথম কেলেঙ্কারি। যে কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রয়াত তাপস পাল, মদন মিত্র সহ আরও অনেকের। যদিও এই কাণ্ডে নাম থাকা মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা এখন বিজেপিতে।

করোনা রুখতে হাতিয়ার ১৪৪ ধারা, এবার বিজেপি শাসিত এই রাজ্য জুড়ে জারি হয়ে চলেছে কড়া আইন