ওয়াশিংটন: করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের পাশেই রয়েছে আমেরিকা। মঙ্গলবার ফের এই বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, গত বছর তাঁদের দেশের যখন প্রয়োজন ছিল দিল্লি যা করেছে এবার তা ফেরত দেওয়ার সময় এসেছে। তাই ভারতের এই দুঃসহ পরিস্থিতিতে পাশে রয়েছে আমেরিকা। দিল্লিকে সম্পূর্ণ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সোমবার জো বিডেন সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে ভারতকে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেন তিনি। মঙ্গলবার ফের এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “যা প্রয়োজন তার সবই পাঠাবে আমেরিকা। রেমডেসিভির ও অন্যান্য ড্রাগ যেগুলি এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে পারে সেগুলিও পাঠানো হবে। আমরা সেইসব মেকানিক্যাল জিনিসও পাঠাচ্ছি যেগুলো ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।” কখন ভ্যাকসিন পাঠানো হবে তা নিয়েও মোদীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, “এখন সমস্যা হচ্ছে, আমাদের নোভাভ্যাক্স এবং অন্যান্য সম্ভবত ভ্যাকসিনগুলি আসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আমার মনে হয় যে সব দেশের দরকার তাদের সঙ্গে আমরা ভ্যাকসিনগুলি শেয়ার করতে পারব। আমাদের প্রথম অবস্থায় ভারত আমাদের সাহায্য করেছিল।”
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। প্রতিদিন ৩ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার ৪০টি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির সিইও-রা একত্রিত হয়ে করোনা বিপর্যয়ের সঙ্কটের মধ্যে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে এসেছে । করোনা যুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সৌহার্দ্য-র হাত বাড়িয়ে তারা একটি ভারত ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স তৈরী করেছে। এর মাধ্যমে করোনা যুদ্ধে ভারতকে লড়াইয়ের জন্য তারা সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্যোগকে এক কথায় ভারতের প্রতি মার্কিন সৌহার্দ্য বললেও অত্যুক্তি হবে না। ইউএস চেম্বার অফ কমার্স-এর ইন্দো -ইউএস বিজনেস কাউন্সিল, ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম সোমবার এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানান ডিলয়েটের সিইও পুনিত রেনজেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.