বাংলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
গত তিন মাস ধরে বাংলায় কেবল রাজনৈতিক দলের প্রচার চলেছে। মিডিং, মিছিল, জমায়ের, রোড শো, জনসভা। ভিড়ে ঠাসাঠাসি, গাদাগাদি করে মানুষ তাতে অংশ নিয়েছেন। কারোর মুখেই মাস্ক ছিল না বললেই হয়। তার পরিণাম এখন প্রকাশ্যে আলতে শুরু করেছে। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ গত ১০ দিনে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। দিল্লির পরিস্থিতি তৈরি না হলেও সেই পর্যায়ে পৌঁছতে বেশি সময় লাগবে না।
লকডাউন আবশ্যিক
করোনা সংক্রমণের বিস্ফোরণের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাকে ৫টি জিনিস অবশ্যই করতে হবে। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে লকডাউন। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য নিজের মতো করে লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে।মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা, গোয়া, পণ্ডিেচরী লকডাউন শুরু করে দিয়েছে। সংক্রমণে রাশ টানতে হলে ২ মে ভোটের রেজাল্ট বেরোনের পর বাংলাকেও েসই লকডাউনের পথে হাঁটা উচিত বলে মনে করছেন গবেষকরা। পুরো রাজ্যে না হলেও কলকাতায় লকডাউন করা আবশ্যিক বলে মনে করছে তারা। কারণ শুধুমাত্র কলকাতাতেই ৪০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে।
করোনা পরীক্ষায় জোর
দ্বিতীয় যে কাজটি অবশ্য করনীয় সেটা হল পরীক্ষা। করোনা পরীক্ষা আরও বাড়াতে হবে রাজ্যে। একাধিক জেলায় এখনও করোনা পরীক্ষা ঠিক মতো হচ্ছে না। ৩ থেকে ৪ দিন পর মিলছে করোনা রিপোর্ট ততদিনে বাড়িেতই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন রোগীরা। এমনকী যাঁরা উপসর্গহীন তাঁদের কাছ থেকে আরও ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। বাংলায় এখন দিনে ৫০,০০০ নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
অক্সিজেন ও আইসিইউ বেড বাড়ানো
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অক্সিজেনের মজুত বাড়াতে হবে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় অক্সিজেন সংকট কম হলেও জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার চাহিদা বাড়বে। তাইএবার সব হাসপাতালেই যাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন থাকে তার বন্দোবস্ত করার দিকে নজর দিতে হবে। শহর থেকে জেলা সর্বত্র আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ােত হবে। যদি অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় গতকালই বড় পদক্ষেপ করেছেন নির্বাচন কমিশন। তাতে রাজ্যে ৫৫টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়েছে.এবং হাসপাতাল গুলিতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের নিয়ম লঘু করা হয়েছে। এখন থেকে কেবল সুপারের অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করা যাবে।