ফিরছে সেই ভয়াবহ লকডাউন স্মৃতি, শিকেয় কোভিড বিধি শহর ছেড়ে পালাতে বাসে-ট্রেনে ঠাসাঠাসি ভিড় বিজেপি রাজ্যে

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে রাজ্যে। শহরে শহরে। করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারগুলি সহজতম পথ বেছে নিয়েছেন লকডাউন। বেঙ্গালুরু শহরে ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা হতেই আতঙ্কে ঘরে ফেরার হুড়োহুড়ি শুরু হয়েগিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে। কয়েরদিনআগে মুম্বইয়ে সেইএকই ছবি ধরা পড়েছিল। করোনা বিধি তুড়িতে উড়িয়ে বেঙ্গালুরু শহরের বাসস্ট্যান্ড গুলিতে ভিড় জমিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ঠাসাঠাসি-গাদাগাদি করে তারা বাসে চাপছেন।

বেঙ্গালুরুতে লকডাউন

করোনা পরিস্থিতি লাগাম ছাড়া বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেঙ্গালুরু শহরে ১৪ দিনের লকডাউন জারি করার কথা ঘোষণা করেছেন ইয়েদুরাপ্পা সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য বারবার রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ জানিয়েছেন করোনা মোকাবিলায় লকডাউন শেষ দফা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ বিজেপি শাসিত রাজ্য লকডাউনের পথেই হাঁটতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে অবশ্য মহারাষ্ট্র সবার আগে গিয়েছিল।

বাড়ি ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা

বেঙ্গালুরুতে লকডাউন ঘোষণা হতেই সেই এক বছর আগের পুরনো স্মৃতি ফিরে আসতে শুরু করেছে। বাড়ি েফরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁরা শহরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ভিড় করেছেন। করোনা মোকাবিলায় ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক সরকার। সরকারি বাসগুলি সেই নির্দেশ মানছে ঠিকই কিন্তু বেসরকারি বাস সেই নির্দেশ মানছে না। সরকারি বাসের টিকিট না পেয়ে বেসরকারি বাসে ঠাসাঠাসি গাদাগাদি করে যাচ্ছেন যাত্রীরা। সুযোগ বুঝে তিন থেকে চার গুন ভাড়া চাইছে বেসরকারি বাসগুলি।

বেঙ্গালুরু ছাড়ার হুড়োহুড়ি

বেঙ্গালুরু ছাড়ার হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। যেভাবেই হোক সকলে শহর ছাড়তে মরিয়া। কেউ হাঁটছেন। কেই তিনচারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাসে চাপছেন। অটো, টোটো, রিকশা কোন কিছু ভাড়া করতেই ছাড়ছে না তারা। শহরের রাস্তায় লাইন পড়ে গিয়েছে গাড়ির। যেভাবেই হোক তাঁরা বাড়ি ফিরতে চাইছেন। সকলে যে ভিন রাজ্যের বাসিন্দা তা নয়। কর্নাটকেরই বাসিন্দা বেশিরভাগ মানুষ। তাঁরা শহর ছাড়তে চাইছেন মরিয়া হয়ে।

করোনা আবহে সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্প নিয়ে সমালোচনার ঝ়ড়, টুইটে কেন্দ্রকে ফের খোঁচা রাহুলের

সরকারি বাসের আকাল

লকডাউনের মধ্যে সরকারি বাস চলবে বলে জানিয়েছে কর্নাটক সরকার। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত সরকারি বাস চলছে। কিন্তু তাতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। তাই সরকারি বাস চললেও তাতে আসন সংকুলানের জন্য প্রবল সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা।