জার্মানি : সুষ্ঠু জলবায়ু নীতি চরম দারিদ্র্য হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে একটি গবেষণার মাধ্যমে। বলা হচ্ছে ঠিকঠাক সমস্ত নিয়ম মেনে চললে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্রতা অনেকখানি কমানো সম্ভব।
বলা হচ্ছে সুষ্ঠু জলবায়ু নীতি এবং চরম দারিদ্র্য একে অপরের সঙ্গে হাতে হাত রেখে চলে। এই দুটিকে মেলানো সম্ভব হবে যদি ন্যাশনাল রিডিস্ট্রিবিউশন এমিশন প্রাইস রেভিনিউ এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্সকে একসঙ্গে মেলানো যায়। এমনই বলছে নেচার পত্রিকা।
বলা হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সুষ্ঠু জলবায়ু নীতি মানানো গেলে চরম দারিদ্র্যতা তা হ্রাস করানো যেতে পারে। যদি না করা যায় তাহলে ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্রতার সম্মুখীন হবেন। যাদের যায় হবে দৈনিক ১.৯০ ডলার।
এর আরেকটি বড় কারণ করোনা সংক্রমণ ও তার জেরে লকডাউন। ২০২০ সালের জুলাই মাসের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছিল সারা বিশ্বে চরম দারিদ্রের শিকার হতে পারেন  প্রায় ৪০ কোটি মানুষ। তালিকায় রয়েছে ভারতের নাম। বলা হয়েছিল এর জের ভারতের ৬ কোটি মানুষ এই সমস্যার শিকার হবেন। বলা হয়েছিল দরিদ্রদের আয় কমে যাবে ব্যাপক ভাবে। দিনে আয় মাত্র ১৪৪ টাকা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। অনেকের আয় এর চেয়েও নীচে নেমে যেতে পারে। ওই গবেষণায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। গবেষণা করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে থাকা ‘ইউএনইউ-ওয়াইডার’।
ওই গবেষণায় বলা হয়েছিল আগামী দিনে খুব ভয়ংকর। একে করোনা এবং তার জেরে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি অদ্ভুতভাবে বদলে যাওয়া। ফল, বিশ্বে কমপক্ষে ১১২ কোটি মানুষের চরম দারিদ্রতার দিকে চলে যাওয়া। হিসাবে বলা হয়েছিল ৭০ কোটি মানুষ আগে থেকেই এই সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। তালিকা আরও লম্বা হবে। সঙ্গে যোগ হবে আরও ৪০ কোটির। গবেষকরা বলেছিলেন সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির। তালিকায় হিটলিস্টে রয়েছে ভারত। আর এই জন্যই সম্ভবত করোনার এই অবস্থাতেও লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ভাবেনি ভারত। তবে সময় বলবে এই সিদ্ধান্তে কতটা আটকে থাকা সম্ভব, কারন অনেক রাজ্যই নিজে থেকেই লকডাউন করেছে। তাই প্রকৃতি এবং জলবায়ু বাঁচানো খুব প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাঙ্ক যে দারিদ্রতার মাত্রা নির্ধারণ করেছে, তার প্রথম ধাপ হল, দিন প্রতি ১৪৪ টাকা ২৪ পয়সা আয় বা ১.৯০ ডলার। এর চেয়ে আয় কম হলে চরম দারিদ্রতা বলা হবে। আরেকটি ধাপ দিনে ৪১৭ টাকা ৪১ পয়সা বা ৫.৫০ ডলার আয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.