হাওড়া: অসুস্থতার খবর পেয়ে কেউ আসেনি। তবে এগিয়ে এসেছিল সিপিআইএমের করোনা ফাইটার্স সংগঠন রেড ভলেন্টিয়ার্সরা। অক্সিজেন জোগাড় করে চিকিৎসা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত কোভিড রোগীর দেহ দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে পড়ে থাকার পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের।

প্রায় ১২ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ঘরের মেঝেতে পড়েছিল হাওড়ার জগাছা থানা ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা
গোপাল চক্রবর্তীর দেহ। মঙ্গলবার রাতভর বাড়িতে পড়ে থাকে তাঁর দেহ। পরিবারের সদস্যরা জগাছা থানা থেকে শুরু করে হাওড়া পুরসভা সর্বত্র যোগাযোগ শুরু করেন। অভিযোগ, বুধবার সকাল পর্যন্ত ব্যবস্থা হয়নি। এই ঘটনায় চরম হয়রানির শিকার হতে হয় পরিবারের লোকজনদের।

পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, হাসপাতালে বেডের অভাবে রোগী ভর্তি হতে পারছেন না খবর পেয়ে দক্ষিণ হাওড়া এরিয়া কমিটির রেড ভলেন্টিয়ারের কর্মীরা এগিয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তাঁরাই বাড়িতে এসে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেন। বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবার রাতে গোপালবাবুর মৃত্যু হয়।

এদিকে, দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে করোনা রোগীর মৃতদেহ পড়ে থাকায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। শেষপর্যন্ত পুরসভার কর্মীরা উদ্ধার করে নিয়ে যায় করোনায় মৃতের দেহ।

গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ক্রমে বাড়ছে করোনা রোগী মৃত্যুর পর বাড়িতে পড়ে থাকার ঘটনা। প্রশাসনের গাফিলতিতে ছড়াচ্ছে ক্ষোভ। এদিকে করোনা মোকাবিলায় সিপিআইএম সহ বামপন্থী দলগুলির তৈরি রেড ভলেন্টিয়ার্সরা জীবন হাতে করে জীবন বাঁচানোর কাজ করে চলেছেন। রেড ভলেন্টিয়ার্সরা জানিয়েছেন, গতবছর থেকে করোনা সংক্রমণের সময় যেভাবে কাজ করেছি এবারও তেমনই চলছে। যে কোনও ব্যক্তি যোগাযোগ করতে পারেন। এলাকাভিত্তিক যোগাযোগের সব ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্য জুড়ে।

মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ১৬ হাজার ৪০৩ জন। ফলে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৪৫ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭০৮ জন। আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে আছে উত্তর ২৪ পরগনা। যেখানে গত একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৫১ জন। তারপরেই রয়েছে হাওড়া। সেখানে সংক্রমিত হয়েছে ৯৯৩ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯১৯ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। হুগলিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮৪৩ জন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.