কোন সংকট শুরু!
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা জানায় দিল্লি। এছাড়াও ভারতের প্রতিবেশী দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের বার্তায় মোদী সরকারের কূটনীতিতে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছিল। এদিকে,কোভিডের দ্বিতীয় ঝড়ে ভারত ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক পরিস্থিতির মুখোমুখি, তখনই পাশার নয়া চাল চেলে দিয়েছে চিন।
বেজিং কী চাইছে?
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, আফগানিস্তান, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে চিন নিজের ভ্যাকসিনের স্থায়ী সরবরাহ করে যেতে ইচ্ছুক। আর তা বহু মাত্রার মাধ্যমে সম্ভবপর করা হবে। কার্যত বেজিংয়ের এই বার্তা থেকেই স্পষ্ট , করোনার দ্বিতীয় স্রোতের জেরে জর্জরিত ভারত ভ্যাকসিনের যে বাজার খুইয়ে ফেলেছে প্রতিবেশী দেশগুলিতে, সেই বাজারে এবার চিন দখল নিতে চায়। যা দক্ষিণ এশিয়ার ভ্যাকসিন কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি প্রাসঙ্গিক দিক।
অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ!
এর আগে, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেন ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে কার্যত ভারতের ওপর ক্ষোভ জাহির করেন। ভারতের তরফে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছিল ভ্যাকসিন। একমাত্র ভারত থেকেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে করোনা সংকটের জেরে ভ্যাকসিন ঘাটতির খবর উঠতে থাকে। তারপরই দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রবল হারে করোনা বাড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে ভারত কেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
মুখ ফেরাচ্ছে বাংলাদেশ!
এদিকে , রাশিয়ার স্পুটনিককে বাংলাদেশ ছাড়পত্র দিয়েছে। এছাড়াও চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ যে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে ,তা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে ভারতের প্রতিও চিন সাহায্যের বার্তা দিয়েছে। তবে তার কূটনৈতিক দিশা কী, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।