নয়াদিল্লি: এই রবি শস্যের মরসুমে বিপুল পরিমান গম উৎপাদন হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। গম উৎপাদনের পরিমান ২৩২.৪৯ লক্ষ মেট্রিক টন।২০২১-২০২২ এর রবি মরসুমে এখনও পর্যন্ত বিপুল ফলন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এই বিপুল ফলন হয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখন্ড, চন্ডীগড়, হিমাচল, দিল্লি , গুজরাট, জম্মু ও কাশ্মীরে যেখানে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রবি শস্য বিপণন করার সময়। জানা গিয়েছে এই বিপুল ফলনের ফলে উপকৃত হয়েছেন ২২লক্ষ ২০ হাজার ৬৬৫ জন কৃষক। এর এমএসপি ৪৩হাজার৯১৬.২০ লক্ষ টাকা।

২০২০-২০২১ মরসুমের খারিফ শস্যও ভালো পরিমানে উৎপন্ন হয়েছে। খারিফ শস্য উৎপাদনকারী রাজ্যগুলি ৭১০.৫৩ এলএমটি ধান চাষ করেছে। গত বার এর পরিমাণ ছিল ৬৪৬.৩৬ এলএমটি। এর জন্য ইতিমধ্যেই ১০৬.৩৫ লক্ষ কৃষক লাভবান হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এর এমএসপি ১লক্ষ ৩৪ হাজার ১৪৮.২৯ কোটি।

শীতকালে রোপন করা হয় রবি শস্য। কৃষিজাত ফসল পাওয়ার পরে ওই ফসল গ্রীষ্মকালে মাঠ থেকে তোলা। রবিএ কথাটি আরবি শব্দ। এর অর্থ বসন্ত। অর্থাৎ বসন্তে যে সব ফসল হয় তাকে রবি শস্য বলে। তবে ভারতে এই চাষ একটু আগেই শুরু হয়। বসন্তের জায়গায় ভারতে এটি শীতকালেই চাষ করা শুরু হয়। ভারতে তাই এর সংজ্ঞা একটু হলেও আলাদা। হেমন্তকালে বীজ রোপন করে যে ফসল বসন্তে তোলা হয় তাকে তাকেই রবি শস্য বলা হয়।

দেখা গিয়েছে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে ভারতের বাজার হাটে সব থেকে বেশি সবুজ সবজি দেখা যায়। গম, ডাল, যব, পেঁয়াজ, মটরশুটি এগুলিকেই প্রধান রবিশস্য বলা হয়। তবে আরও অনেক ধরণের রবিশস্য ভারতে উৎপন্ন হয়। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপরের শস্যগুলি।

খারিফ শস্যের হল বর্ষাকালীন ফসল। এই ফসল বর্ষাকালের বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করে। তার ভিত্তিতেই এই চাষ করা হয়। ধান, পাট, ভুট্টা, আখ, জোয়ার, বাজরা, কার্পাস এগুলি খারিফ শস্যের মধ্যে পড়ে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.