নয়াদিল্লিঃ কেটে গিয়েছে গোটা একটা বছর। গত বছর ২৯শে এপ্রিল ইরফান খান আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন। চোখের জলে তাকে বিদায় জানিয়েছিল তার পরিবার থেকে শুরু করে সমগ্র বিশ্ববাসী। তার ফেলে আসা ‘লাঞ্চবক্স’ আজও প্রতীক্ষায় রয়েছে তার। তাই ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ এর কোন এক ‘ফুটপাত’ এ ইরফানের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহে রয়েছে ‘পিকু’ ও ‘বিল্লু’রা।

বিশ্ব চলচ্চিত্র জগত ইরাফনের কাজ এবং শিল্পের অভাব বোধ করেন সে নিয়ে এক রত্তিও সন্দেহ নেই। কিন্তু তার বেটার হাফ সুতপা যে কতটা পরিমাণ তাকে মিস করেন তা বার বার ধরা দিয়েছে তার কথায়। সুতপা বলে উঠলেন, ‘আমাদের খুব বেশি কাছের বন্ধু ছিল না। সঙ্গী বলতে আমরা দুজন দুজনের। কাজ থেকে ফিরে আমরা একসঙ্গে সিনেমা দেখতাম, কত গল্প করতাম। তাই ওর এই চলে যাওয়াটা আমায় ভীষণ একা করে দিয়েছে’। সুতপা আজও অনুভব করেন সব কিছুই তাদের আগের মতই আছে। ইরফানও তার আশেপাশেই আছেন। শুধু শারীরিকভাবে উপস্থিত নেই।

লন্ডনের এক বিখ্যাত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল ইরফানের। সুতপা জানিয়েছেন, ‘তার তো মারা যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই ছিল না ওই মুহুর্তে। কারণ ডাক্তার আমাদের বলেছিল আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করছে ওর শারীরিক অবস্থা। সেই শুনে আমরা একটা হলি ডে প্ল্যানও সেরে রেখেছিলাম। কিন্তু তারপর হঠাৎ সব কেমন গুলিয়ে গেল’। ইরফান কখনই গোঁড়া মুসলিমবাদী ছিলেন না। তিনি এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন। তাই তার স্ত্রীকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে হয়নি।

নিজের অভিনয়, গুন, ব্যবহার সব কিছুর দ্বারাই ইরফান ভালোবাসা এবং সম্মান অর্জন করেছিল। ২০১১ সালে ইরফান পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী। হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি তিনি পা রেখেছিলেন হলিউডে। ‘লাইফ অফ পাই’, ‘ইনফার্নো’, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ এর মত সিনেমা গুলি তিনি উপহার দিয়ে গিয়েছেন বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতে। তাই ‘বাফতা’ (BAFTA) ২০২১ এবং অস্কার ২০২১ এর মঞ্চে সম্মান জানান হয়েছে ইরফান খানকে। এই বছর হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে তার অবদানকে সম্মান জানিয়ে ফিল্মফেয়ার (FilmFare) ইরফানকে প্রদান করেছে ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ (Life Time Achievement Award)। প্রয়াত বাবার হয়ে পুরষ্কার নিতে মঞ্চে উঠেছিলেন বড় ছেলে বাবিল খান। চোখের জলে বাবার এই সম্মান দুহাতে গ্রহণ করেছেন বাবিল।

মৃত্যু হয় শরীরের। আত্মার বিরাজ তো সর্বত্র। তাই শিল্পী নিজের দেহ ত্যাগ করতে পারেন। কিন্তু তাদের শিল্প চিরকাল চিরস্মরণীয় হয়ে থেকে যায় সকলের মনে। শিল্পীর মৃত্যু হলেও শিল্প যে অমর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.