কলকাতাঃ খুব শিগ্রই আবারও অভিনয় জগতে ফিরতে চলেছেন রায়দিঘির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। তিনি নিজেই একথা তুলে ধরেছেন একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে। বহুদিন থেকেই অভিনয় জগত থেকে দূরে রয়েছেন আমাদের ‘কলকাতার রসগোল্লা’ দেবশ্রী রায়। অনেক হয়েছে তার রাজনীতি এবার ফিরতে চান পুরনো বন্ধু ক্যামেরার সামনে।
প্রায় ১০ বছর অভিনয় জগতের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই তার। তাই রাজনীতি সরিয়ে আবার অভিনয় শুরু করছেন অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর অভিনয় থেকে দূরে আছি। নিজের ইচ্ছাতেই অভিনয় ছেড়ে ভিন্ন ধারার কাজে যুক্ত হয়েছিলাম। তবে এখন মনে হচ্ছে সিদ্ধান্তটা সঠিক নেওয়া হয়নি। কারণ রাজনীতিটা আমার জন্যে নয়। ক্যামেরা আমার বন্ধু। তাই অভিনয়টাই আমার জন্যে একেবারে উপযুক্ত ক্ষেত্র’।
এত বছর পর আবার অভিনয়ে ফিরছেন অভিনেত্রী, সেই প্রসঙ্গে তার স্পষ্ট উত্তর, ‘ক্যামেরা আমার বন্ধু, তাই সে আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। সাঁতার, সাইক্লিং একবার কেউ শিখলে যেমন তা আর ভোলে না, অভিনয়টাও ঠিক তেমনই’।
জানা গিয়েছে স্নেহাশিস চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থা ব্লুজ এন্টারপ্রাইজের অধিনে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করতে চলেছেন দেবশ্রী। এই ধারাবাহিকটি বেছে নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘যেকোন ধারাবাহিক বা ছবির মূল রসদ হল তার চিত্রনাট্য। এই ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। তথকথিত চলতি ধারাবাহিকের থেকে একেবারেই ভিন্ন স্বাদের গল্প। আর সব থেকে বড় কথা এই ধারাবাহিকে আমার চরিত্রের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। তাই সব মিলিয়েই রাজি হওয়া’। যদিও ধারাবাহিকের শুটিং এখনও শুধু হয়নি। স্নেহাশিস জানিয়েছেন, মে মাসের শেষ থেকে শুরু হবে শুটিং এবং জুন থেকে হবে সম্প্রচার।
নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় প্রায় ১০০ টিরও বেশি সিনেমা উপহার দিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতকে। ঋতূপর্ন ঘোষের বিখ্যাত সিনেমা ‘উনিশে এপ্রিল’ ছবিটির জন্যে তিনি পেয়েছিলেন জাতীয় পুরষ্কার। একাধিক হিন্দি সিনেমাও করেছেন তিনি। এছাড়া তামিল, মালায়লাম এবং উড়িয়া ভাষার ছবিতেও কাজ করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি দেবশ্রী রায় একজন অসাধারন দক্ষ নৃত্যশিল্পীও বটে।
২০১১ সালে জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী তৃণমূল দলের প্রার্থী হয়ে রাজনীতির মাটিতে প্রবেশ করেছেন। তারপর থেকেই তিনি রায়দিঘি বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। অভিনয়, রাজনীতির পাশাপাশি দেবশ্রী রায় একজন পশুপ্রেমী। তিনি নিজের একটি ফাউন্ডেশন চালান, যারা রাস্তার কুকুর এবং অন্যান্য পশুদের অসুখে চিকিৎসা প্রদান করে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.